ঢাকা শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের এমডিকে গ্রেপ্তারের দাবিতে সড়ক অবরোধ

নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২৪, ০৭:০১ পিএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের পাওনা টাকা ফেরত ও প্রধান নির্বাহী (এমডি) নাজিম উদ্দিন তনুকে গ্রেপ্তারের দাবিতে নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড়ে দেড় ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে এর গ্রাহকরা। রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখে প্রায় ৩ শতাধিক গ্রাহক। এতে সড়কের দুই পাশে শতশত যানবাহন আটকা পড়ে চলাচল ব্যহৃত হয়। দূর্ভোগ পোহাতে হয় পথচারীদের।

নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রধান নির্বাহী (এমডি) নাজিম উদ্দিন তনুকে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা সড়ক থেকে চলে যান। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সোহেল রানাসহ সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যা উপস্থিত ছিলেন।

খাঁস-নওগাঁ মহল্লা বাসিন্দা মোসতাক আহমেদ পাপ্পু বলেন, অসুস্থ মানুষ কাজ করতে পারিনা। কর্ম জীবনে সঞ্চিত ৫ লাখ টাকা গত ৩ বছর আগে এ সংস্থায় রেখেছিলাম। মাসে ১০ হাজার টাকা মুনাফা পেতাম। যা দিয়ে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া সহ সংসারের খরচ মেটাতাম। গত দুই মাস আগে ৫০ হাজার টাকা তুলে নেয়া হয়। বাঁকী টাকা তুলে নিবো আজকাল দিবো বলে কালক্ষেপণ করছিল তনু। হঠাৎ করে অফিস বন্ধ করে সবাই উধাও হয়ে যায়। এমাসেও মুনাফা পাওয়া যায়নি। এখন সংসার চালাতে ঋনগ্রস্থ হয়ে পড়েছি।

একই এলাকার গৃহবধু শারমিন বলেন, জমি বন্ধক রেখে গত এক বছর আগে এ সংস্থায় ৭লাখ টাকা জমা রেখেছিলাম। মাসে দুই হাজার করে লাভ পেতাম। বেশ কিছু সংস্থা পালিয়ে গেছে। এসব দেখে টাকা তুলে নিতে চেয়েছিলাম। ডিসেম্বর মাসে সংস্থা থেকে টাকাও দিতে চেয়েছে। কিন্তু তার আগেই পালিয়ে যায়। এখন দুশ্চিন্তায় পড়েছি।

উল্লেখ্য, নওগাঁ শহরের খাঁস-নওগাঁ পোষ্ট অফিস পাড়ায় গত কয়েক বছর থেকে বেসরকারি সংস্থা বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন ঋনদান কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। এছাড়া জামানতকারীদের লাখে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা মুনাফা (লাভ) দিতেন। জেলার ১১টি উপজেলায় এ সংস্থার শাখা রয়েছে। এ সংস্থার সদস্য প্রায় সাড়ে ৫ হাজার জন।

হঠাৎ করে গত ১২ নভেম্বর সংস্থার সব কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে রাতের আধারে সাড়ে ৫ হাজার গ্রাহকের প্রায় ৬০০ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায় সংস্থার পরিচালক ও চেয়ারম্যান। শত শত গ্রাহক প্রতিদিন সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে। ইতোমধ্যে গ্রাহকদের পক্ষ থেকে থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। মামলার পর পুলিশ চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মামুনসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়।