গত সাড়ে ১৫ বছর এ জাতি জিম্মি দশায় ছিল। মানুষ খুন হয়েছে, গুম হয়েছে, মানুষের ইজ্জত নষ্ট হয়েছে, সম্পদ লুণ্ঠন হয়েছে, দেশের টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে, কারা করেছে? আমার দেশের কৃষক শ্রমিক তারা করেছে? করেছেন যারা উঁচু তলায় থাকেন তারা। যারা করেছেন তাদের মানুষ শাসক বানায়নি তারা নিজে নিজেই শাসক হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
২ ডিসেম্বর সোমবার রাত ৭টায় মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর বাসস্ট্যান্ডে পথসভায় তিনি মন্তব্য করেন।
জামায়াত আমির আরোও বলেন, দুর্নীতি করবে না, মা বোনদের ইজ্জত নষ্ট করবে না এবং মানুষের মধ্যে কোন বৈষম্য থাকবে না, বিচারকের আসনে বসে কেউ ঘুষ খাবে না, মানুষ ন্যায় বিচার পাবে, যদি ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয় তাহলে সেই সমাজে আল্লাহর রহমত বর্ষণ হয়। আর যেই সমাজের মানুষ ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত থাকে অথবা মানুষ অন্যায়কে নীরবে হজম করে সেই সমাজ থেকে আল্লাহ তা`আলা তাঁর রহমত উঠিয়ে নেয়।
তিনি আরো বলেন, আমি আর ডামি মিলে যে সংসদ হয়েছিল ইলেকশনের সময় যারা ক্যান্ডিডেট হয় তাদের সম্পদের বিবরণ দিতে হয় ১৪ সালে যে সম্পদ ছিল ২০১৮ সালে দেখা গেল সেই সম্পদের ২০ গুণ বেড়ে গেছে আয়ের উৎস হিসেবে দেখানো হলো মাছের চাষ। খোঁজ নিয়ে দেখা গেল কোথায় একটি পুকুরও নেই তার মাছের।
এ পথসভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মাদারীপুর জেলা শাখার আমির মাওলানা মোখলেছুর রহমান, সাবেক জেলা আমির আবদুস সোবাহান, সেক্রেটারি হাফেজ এনায়েত হোসেন, সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, সদর উপজেলা আমির মাওলানা হুমায়ুন কবির, সেক্রেটারি মাওলানা মনিরুজ্জামান, রাজৈর উপজেলার আমির মাওলানা আলী আহমেদ আকন, রাজৈর পৌর আমীর শেখ মোশাররফ হোসেন, সদর পৌর আমির মাওলানা আলমগীর হোসেন, সদর পৌর নায়েবে আমির আ. রহিম মোল্লা, সেক্রেটারি মাওলানা নজরুল ইসলাম, জেলা ছাত্রশিবির সভাপতি সাইফ হাসানসহ অনেকেই।
আপনার মতামত লিখুন :