বগুড়ার শাজাহানপুরে বাঁশ কাটাকে কেন্দ্র করে থানায় ২টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। উপজেলার মাঝিড়া ইউনিয়নের সাজাপুর গ্রামের মৃত মনছুর রহমানের ছেলে মাহবুব রহমান ও মাহবুর রহমানের ছেলে রাব্বি হাসান বাদি হয়ে পৃথক ২টি অভিযোগ দায়ের করে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত ১ ডিসেম্বর দুপুরে বাঁশ ঝাড় থেকে প্রতিবেশি আনোয়ার হোসেনের নিকট বাঁশ বিক্রয় করছিলেন মাহবুব রহমান। এসময় প্রতিপক্ষগন পূর্ব পরিকিল্পিত ভাবে হাতে বাঁশের লাঠি, এস এস পাইপ নিয়ে প্রতিবেশি আনোয়ার হোসেনের পথ রোধ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে। তখন গালিগালাজ করিতে নিষেধ করিলে মৃত মনজুর রহমানের ছেলে মোস্তাফিজার রহমানের হুকুমে মনিরুজ্জামান মানিক তার হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে আনোয়ার হোসেনের মাথায় আঘাত করে। কিন্তু আঘাতটি লক্ষ্যভ্রস্ট হয়ে বুকে লেগে গুরুত্বর জখম হয়।
মাহবুব রহমান জানায়, এ ঘটনার সময় আনোয়ার হোসেনের পকেট থেকে বাঁশ ক্রয়ের ১০,৫০০/- টাকা অসৎ উদ্দেশ্যে ছিনিয়ে নিয়ে আমার বাড়ীর মেট গেট, মিটারসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ভাংচুর করে যাতে অনুমান ১,৩৬,০০০/- টাকার ক্ষতি সাধন হয়। এছাড়াও প্রতিপক্ষ আমার ঘরে অনধিকার প্রবেশ করে আমার ছেলের গরু ব্যবসায়ের নগদ ২,১০,০০০/- টাকা অসৎ উদ্দেশ্যে ছিনিয়ে নেয়। আমি ও আমার ছেলে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে পৃথক ২টি অভিযোগ দায়ের করেছি।
অপরদিকে রাব্বি হাসানের অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ঘটনার জের ধরে পরের দিন ২ ডিসেম্বর বিকালে প্রতিপক্ষগন রাব্বি হাসানের বাঁশ ঝাড় থেকে প্রায় ৭০-৮০ টি বাঁশ কেটে ক্ষতি সাধন করে। বিষয়টি জানতে পেয়ে বাঁশ কাটতে বাধা প্রদান করে। তখন প্রতিপক্ষগন রাব্বি হাসানকে ধারালো দা, কুড়াল ও বাঁশের লাঠি দ্বারা মারমুখী হয়। তখন রাব্বি হাসান ভয়ে দৌড়াইয়া পালানোর সময় প্রতিপক্ষ কোপে দিয়ে গলা কেটে প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং বাড়ীতে ইট ও পাথরের ঢিল নিক্ষেপ করে টিনের ক্ষতি সাধন করে।
রাব্বি হাসান জানান, ২ দিনের ঘটনার পর ৩দিনের মাথায় গত ৩ ডিসেম্বর সকালে প্রতিপক্ষরা আমার বাড়ীর সামনে এসে আমাকেসহ আমার পরিবারের লোকজনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে। আমরা বিবাদীগণদের গালিগালাজ করিতে নিষেধ করিলে তারা আমাদেরকে বলে যে, তোদের বাড়ীতে আগুন লাগিয়া দিব, তোদেরকে সুযোগমত একা পাইলে জীবনে শেষ করিয়া ফেলিব বলিয়া প্রাণনাশের হুমকিসহ বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে। পৃথক ২টি বিষয়ে আমি ও আমার বাবা প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে পৃথক ২টি অভিযোগ দায়ের করেছি।
অভিযুক্ত মনিরুজ্জামান মানিকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে ও অভিযোগ সংক্রান্ত মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
এ বিষয়ে শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওয়াদুদ আলম জানান, একই ঘটনায় একই বিবাদিদের বিরুদ্ধে ২টি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ ২টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।