মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ফুলদী নদীতে অবাধে গড়ে ওঠা অবৈধ মাছের ঘের বা ঝোপ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার রসুলপুর গ্রাম সংলগ্ন মেঘনার শাখানদী ফুলদী নদীর দুই পাশে প্রভাবশালীদের অবাধে গড়ে তুলা অবৈধ ঘের (ঝোপ) গজারিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মামুন শরিফের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ উচ্ছেদ অভিযান করা হয়।
অভিযান পরিচালনা কালে ম্যাজিস্ট্রেট দেখে অবৈধ ঘের ছেড়ে পালিয়ে যায় ঘের মালিক পক্ষ। এসময় ঘেরের ঝোপঝাড়ে আটকে রাখা কচুরিপানা, বাঁশ ও জাল কেটে সরিয়ে মাছ এবং নদীকে অবমুক্ত করা হয়।
একাধিক জেলেরা জানায়, নদীতে ঘের থাকার কারণে আমরা জাল টানতে পারি না।এমনকি মাছ মারতে গেলে ঘের মালিকরা বাঁধা দেয়। আমরা যদি মাছ না ধরতে পারি, তাহলে পরিবার নিয়ে বাঁচব কীভাবে।এ সব ঝোপঝাড়ের কারনে আমরা নদীতে মাছ শিকার করতেই পরি না। ঘেরের আশে পাশে জাল ফেললে অবৈধ ঘের মালিক প্রভাবশালীরা আমাদের মারধর করে জাল নষ্ট করে দেয়। আমরা সাধারণ জেলেরা এখন অনেকটা চাপের মুখে আছি, চাহিদার তুলনায় আয় করতে পারি না। ঊর্ধ্বমুখী বাজারে সংসারের দৈনন্দিন জীবনের চাহিদা মেটানোয় এখন যেনো বড় দায়।নদীতে প্রভাবশালীদের অবৈধ ঘেরে, দিশেহারা জেলেরা।
গজারিয়া উপজেলার ৮টি ইউনিয়নেই অবৈধ ঘেরের কারনে সাধারণ জেলে পরিবার গুলো মাছ পাচ্ছেনা। মানবেতর ভাবে কাটাচ্ছে জীবন।
এ সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামুন শরিফ বলেন, নদীতে যেখানে ঝোপঝাড় এবং বাঁশ ডালপালা দিয়ে ঘের তৈরি করে নদীর মাছ জায়গাটিকে অভয়ারণ্য মনে করে মাছ ঘেরে আশ্রয় নেয়। যেখানে সাধারণ জেলেদের মাছ ধরার কোনো অধিকার থাকে না। আইনত এ ধরনের ঘের অবৈধ। যারা অবৈধভাবে মাছের ঘের দিয়ে দেশের সম্পদ নষ্ট করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাসহ অবৈধ ঘের ধ্বংসের অভিযান অব্যাহত থাকবে।