মহাসড়ক থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির বিকৃত ও খন্ডিত মাংসপিন্ড উদ্ধার করেছে বগুড়ার হাইওয়ে পুলিশ। যানবাহনের চাকায় পিষ্ট হয়ে সড়কের কার্পেটিংয়ে পিষে গেছে দেহ। যে কারণে নিহতের পরিচয় সনাক্ত করা যায়নি। সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু! নাকি হত্যার পর মৃতদেহ পিষে বিকৃত করা হয়েছে, এনিয়ে ভিন্ন ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করা যাবে বলছে পুলিশ।
শনিবার ভোরে বগুড়া-ঢাকা মহাসড়কের শাজাহানপুর উপজেলার সাজাপুর এলাকা থেকে লাশের মাংসপিন্ড উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আজিজুল ইসলাম। তিনি জানান, মরদেহের মাথা পিষে বিকৃত ও মাংসপিন্ড ছিন্নভিন্ন অবস্থায় পাওয়া গেছে। পরিচয় সনাক্ত করার কোনো উপায় নেই। তবে নিহত ব্যক্তির বয়স ৩৫ থেকে ৪০ বছর হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরিচয় সনাক্ত করা না গেলে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হবে।
হাইওয়ে পুলিশের কর্মকর্তা বলেন, চলন্ত বাস-ট্রাক থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু বা সড়ক পারাপারের সময় যানবাহনের চাকায় পিষ্ট হয়ে তার মৃত্যু হতে পারে। সড়কে বিকৃত মরদেহ পড়ে থাকার খবর পেয়ে রাতের টহলরত পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। সড়কের কার্পেটিংয়ের সঙ্গে পিষে মুখমন্ডল বিকৃত, হাত-পা ও দেহ খন্ডিত ছিল। মাংসপিন্ড একত্রিত করে লাশের সুরতহাল শেষে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ যাবে।
মরদেহ পুরোপুরি বিকৃত হওয়া প্রশ্নে ভিন্নমত স্থানীয়দের। তাদের ধারণা, অন্যকোথাও হত্যা করে বা পরিকল্পিতভাবে রাস্তায় ফেলে হত্যা করা হতে পারে। লাশের পরিচয় আড়াল করতে সড়কে ফেলে খুনিরা যানবাহনের চাকায় পিষে রেখে গেছে বলে অনেকের মন্তব্য।
শাজাহানপুর থানার ওসি (তদন্ত) মাসুদ করিম জানান, বিকৃত মৃতদেহের পরিচয় সনাক্ত করা যায়নি। মৃত্যুর কারণও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সড়ক পরিবহন আইনে থানায় এসে নিয়মিত মামলা করেছে হাইওয়ে পুলিশ। সড়কে মৃত্যুর ঘটনা তারাই তদন্ত করে।