নড়াইলের কালিয়া থানায় দায়ের করা অপহরণ মামলার ভিকটিমকে উদ্ধার করে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা নিজের বাড়িতে রেখে শারিরীকভাবে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে কালিয়া থানার এস আই মো. আশিকুজ্জামানের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে ভিকটিম অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী (১৩) নড়াইলের কালিয়া থানার আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাবরিনা চৌধুরীর কাছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৭ ধারায় জবাববন্দী দিয়েছেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত এসআই আশিকুজ্জামানানের বিচার দাবি করেছেন ভিকটিম ও তার পরিবার।
জানা গেছে, নড়াইলের কালিয়া উপজেলার অস্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী (১৩) গত ২৭ অক্টোবর অপহরণ হয়।
এ ঘটনায় তার পিতা বাদি হয়ে মো. মানিক হোসেনের বিরুদ্ধে ওই দিনই একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এস আই আশিকুজ্জামান গত ৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সাভারের আশুলিয়া থেকে মামলার ভিক্টিমকে উদ্ধার করে ওইদিনই নিজের বাড়ি গোপালগঞ্জে নিয়ে রাখে। এক রাত এক দিন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা ভিক্টিমকে তার বাড়িতে রেখে বিভিন্ন সময়ে শারিরীকভাবে নির্যাতন করে।
এছাড়া ভিকটিমকে বৃহস্পতিবার বিকেলে উদ্ধার করে গাড়িতে নিয়ে আসার সময় তার শরীরের স্পর্শকাতরস্থানে হাত দেয় বলে ভিক্টিমের অভিযোগ। এ বিষয়ে ভিক্টিম শনিবার ৭ ডিসেম্বর রাত ৮টা পর্যন্ত সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাবরিনা চৌধুরীর কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন বলে ভিকটিম জানিয়েছেন।
কালিয়া থানার ওই মামলার তদন্তকারি কর্মকতা অভিযুক্ত এস আই আশিকুজ্জামান এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার চাচাতো ভাই মারা যাওয়ায় উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি নিয়ে ভিক্টিমকে গাড়িতে রেখে জানাজা শেষ করে গতকাল শুক্রবার কালিয়া থানায় চলে আসি।
আজ শনিবার সকালে ভিকটিমকে নিয়ে প্রথমে মেডিকেল করানোর জন্য সদর হাসপাতালে যায়। সেখান থেকে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নিয়ে আসি। এ বিষয়ে কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশিদুল ইসলাম বিষয়টি নড়াইলের পুলিশ সুপারের কাছ থেকে জানার কথা স্বীকার করে বলেন, ইতিমধ্যে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে ক্লোজ করা হয়েছে এবং তাকে চিঠি দিয়ে দ্রুত তাকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হবে।