দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চুয়াডাঙ্গায় তীব্র শীত আর কনকনে হিমশীতল বাতাসে কাঁপছে। তাপমাত্রার পারদ নেমে এসেছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রিতে। রাতভর ঘন কুয়াশার পাশাপাশি হিমালয়ান হিমশীতল বাতাসে জনজীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গায় সকাল ৯ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ৯৭ শতাংশ। এর আগে সকাল ৬ টায় একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
এটি জেলায় চলতি শীত মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঘনকুয়াশায় তাপমাত্রা কম ও হিমেল বাতাসের প্রভাবে জনজীবনে নেমে
এসেছে স্থবিরতা। খেটে খাওয়া মানুষের বাড়ছে দুর্ভোগ। তারা ঠিকমতো কাজে যেতে পারছেন না। ফলে উপার্জনে ভাটা পড়তে শুরু করেছে।
ট্রাক চালক সালাম বলেন, গতকাল রাত থেতে এতো কুয়াশা ১০ হাত দূরের গাড়ি ঠিকমতো দেখা যায় না। এতে গন্তব্য পৌঁছাতে বেশি সময় লাগছে।
অটোরিকশা চালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, যে পরিমাণ কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাস মানুষ বাড়ি থেকে কেমন করে বের হবে। আগে দৈনিক ভাড়া আয় করতাম ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। কয়েকদিন ধরে ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা আয় হচ্ছে। শীত এলে আমাদের কষ্ট হয়।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টায় ও ৯ টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।
আপনার মতামত লিখুন :