মাদারীপুর সদর থানার ধুরাইল ইউনিয়নের উত্তরবিরাঙ্গন গ্রামে পরকিয়ায় আসক্ত হয়ে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়েছে বড় ভাই। ঘটনাটি নিয়ে গত দুইদিন যাবৎ এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। অভিযুক্তের নাম যাচ্চু সরদার। সে মাদারীপুর সদর থানার ধুরাইল ইউনিয়নের সামসুদ্দিন সরদারের ছেলে। যাচ্চু তার ছোট ভাই পান্নু সরদারের স্ত্রী মাহিনুর আক্তারকে নিয়ে পালিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১২ বছর পূর্বে মাদারীপুর সদর থানার ধুরাইল ইউনিয়নের সামসুদ্দিন সরদারের ছেলে ইতালি প্রবাসী পান্নু সরদারের সাথে মাহিনুর আক্তারের বিয়ে হয়। পান্নু-মাহিনুর দম্পত্তির ৯বছরের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। পারিবারিকভাবে তাদের সংসার ভালোই চলছিলো। স্ত্রী-সন্তানের ভবিষ্যৎ জীবনের কথা চিন্তা করে অর্থ উপার্জন করার জন্য বিগত ৫বছর আগে পান্নু সরদার ইতালিতে পাড়ি জমান। ভালোই চলছিলো তাদের সংসার। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই, পান্নু সরদারের বড় ভাই যাচ্চু সরদার তারই ছোট ভাই পান্নু সরদারের স্ত্রী মাহিনুরের দিকে কু-নজর দেয়। মাহিনুরকে ফুসলিয়ে পরোকিয়া প্রেমে আসক্ত হয়। তারপর থেকেই চলে যাচ্চু সরদার ও মাহিনুরের পরোকিয়া প্রেমলিলা। এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হলে যাচ্চু সরদার তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে নিয়ে উধাও হয়। অভিযুক্ত যাচ্চু ও মাহিনুর গাজিপুরের টঙ্গীতে গিয়ে বসবাস করছে বলে লোকমুখে শোনা যায়। অভিযুক্ত যাচ্চু সরদারেরও ১ স্ত্রী ও ২ সন্তান রয়েছে। সেই স্ত্রী সন্তানকে অবহেলা করে সে এখন তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা বসবাস করে।
ধুরাইল ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুর রহমান মুন্সী বলেন, যাচ্চু সরদার ও মাহিনুর যেই কাজটি করেছে সেটা খুবই জঘন্য। তাদের এই কু-কীর্তি এলাকার সবাই যেনে ফেলায় তারা এখন গ্রাম থেকে শহরে গিয়ে থাকে। শুনেছি মাহিনুর নামের ওই মহিলা পান্নুকে ডিভোর্সও দেয়নি।
অভিযুক্ত যাচ্চুর স্ত্রী শিল্পী আক্তার বলেন, আমার স্বামী যাচ্চু সরদার একটা প্রতারক। সে আমার সংসার থাকাকালীন তারই ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়েছে। আমাদের সংসারে দুটি সন্তানও রয়েছে। এই সন্তান রেখে সে তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করছে। আমি প্রতিবাদ করায় আমাকে মারধর করেছে। এমনকি আমাকে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়। আমি টুঙ্গী থানায় একটি মামলাও করেছি, মামলাটি চলমান আছে। যাচ্চুর বিভিন্ন মেয়েদের সাথে অনৈতিক সম্পর্কও ছিলো, আমি কিছু প্রতিবাদ করলেই আমাকে মারধর করতো। আমি যাচ্চুর ভয়তে এখন আমার বাবার বাড়িতে বসবাস করছি।
ভুক্তভোগী প্রবাসী পান্নু সরদার বলেন, আমি দীর্ঘ ৫ বছর ধরে ইতালিতে থাকি। স্ত্রী সন্তানের মুখে হাসি ফোটাতে কষ্টের জীবন কাটাচ্ছি। সেই স্ত্রীই কন্যা সন্তানকে ফেলে আমার বড় ভাই যাচ্চু সরদারের সাথে পরকিয়া করে টাকা পয়সা, স্বর্ণ গহনা নিয়ে পালিয়েছে। আমি প্রবাসে থাকায় আমার বড় ভাই যাচ্চু আমার স্ত্রীকে নিয়ে পালালো, তার একটুও বুক কাঁপলো না। কতটা জঘন্য হলে একটা ভাই এমন কাজ করতে পারে। এ বিষয় অভিযুক্ত যাচ্চু সরদারকে ফোন দিলে তিনি পরে কথা বলবেন বলে ফোন রেখে দেন। পরে আর ফোন দেননি।
ধুরাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, যাচ্চু সরদার তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়েছে এ ঘটনা সত্য। যাচ্চু-মাহিনুর জঘন্যতম কাজ করেছে। ওদের সামাজিক ও আইনীভাবে বিচার হওয়া উচিত। বিষয়টি আমার নজরে আসার পরে এটা নিয়ে আমি সামাজিকভাবে বসতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তার আগেই ওরা এখান থেকে পালিয়ে গেছে।
আপনার মতামত লিখুন :