কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরের কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে। শুধুমাত্র পুরনো পন্য বন্দর থেকে খালাস কার্যক্রম চালু রয়েছে। মিয়ানমারের সংঘর্ষের কারণে ইয়াগুন থেকে কোন পণ্য আমদানি হয়নি। আর স্থলবন্দর থেকেও মিয়ানমারে রপ্তানী হয়নি কোন পণ্য।
বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা মিয়ানমারে গিয়ে রপ্তানি পণ্যের বাজার সৃষ্টির সুযোগ পাচ্ছেন না। এ কারণে রপ্তানি শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে, আর ঘাটতি বেড়েছে।
টেকনাফ স্থলবন্দর আমাদানী রপ্তানীকারক ব্যবসায়িদের সংগঠন টেকনাফ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর জানান, দীর্ঘ মিয়ানমারের সংঘর্ষের কারণে মিয়ামার থেকে পণ্য আমদানীতে ধস নেমেছে। কয়েকমাস পর পর একটা দুটো মালবাহী বোট ভিড়ে বন্দরে। এই অবস্থার আরো অবনতি হয়েছে গত এক সপ্তাহ ধরে। শুধু মাত্র একটি বোট মিয়ানমার মাছ নিয়ে এসেছে।
এহতেশামুল হক বাহাদুর আরও জানান, গত কয়েক বছর ধরে নানা সংকট ও সীমাবদ্ধতার মধ্যেও অর্ধশতাধিক ব্যবসায়ী আমদানি-রপ্তানি ধরে রেখেছেন। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা মিয়ানমারে গিয়ে রপ্তানি পণ্যের বাজার সৃষ্টির সুযোগ পাচ্ছেন না। এ কারণে রপ্তানি শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে, আর ঘাটতি বেড়েছে।
টেকনাফ স্থলবন্দরের ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন জানান, সপ্তাহ ধরে মাত্র মিয়ানমার থেকে একটি বোটে করে পণ্য আমদানী হয়েছে। এরপর থেকে নতুন করে কোন মালামাল আমদানী হয়নি।
তিনি জানান, মুলত মিয়ানমারে চলমান সংঘর্ষের কারণে এমন পরিন্থিতি তৈরী হয়েছে। তবে পুরনো আমদানীকৃত পণ্য সরবরাহের কাজ অব্যাহত আছে। একেবারেই বন্ধ নাই টেকনাফ স্থলবন্দরের কার্যক্রম।
আপনার মতামত লিখুন :