শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৩, ২০২৪, ০৮:১৮ পিএম

অসহায় ভানু বিবির খোঁজ নিলেন ইউএনও শাহীনুর আক্তার

কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৩, ২০২৪, ০৮:১৮ পিএম

অসহায় ভানু বিবির খোঁজ নিলেন ইউএনও শাহীনুর আক্তার

অসহায় ভানু বিবির খোঁজ নিলেন ইউএনও শাহীনুর আক্তার। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

সর্বহারা অসহায় ভানু বিবির (৮০) খোঁজ নিলেন গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহীনুর আক্তার।

শুক্রবার ১৩ ডিসেম্বর দুপুরে উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের চিত্রাপাড়া গ্রামে ভানু বিবির বাড়িতে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহীনুর আক্তার।

এসময় তিনি ভানু বিবির হাতে নগদ অর্থ, শীতের পোশাক, খাদ্যসামগ্রী, ফল ও প্রসাধনী সামগ্রী তুলে দেন।
এ সময় উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার রাকিবুল হাসান শুভ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাশেদুর রহমানসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, চিত্রাপাড়া গ্রামের মৃত রাহেনউদ্দিনের মেয়ে ভানু বিবি। ৬০ বছর আগে বিয়ে হয় পিঞ্জুরী ইউনিয়নের পূর্নবতী গ্রামের কুটি মিয়ার সাথে। বিয়ের ২০ বছর পরে ভানু বিবির স্বামী কুটি মিয়া  মারা যায়। এই ২০ বছর সংসার জীবনে ভানু বিবির কোন সন্তান হয়নি। যার ফলে ভানু বিবিকে ফিরে আসতে হয় বাবার বাড়ি চিত্রাপাড়া গ্রামে।
এরপর বাবার বাড়ির লোকজন মিয়ে ভানু বিবিকে আবার বিয়ে দেয় রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের উত্তরপাড়া গ্রামের বাবন মোল্লার সাথে। বিয়ের ২৫ বছর পর স্বামী বাবন মোল্লাও মারা যায়। এদিকে এই সংসারেও ভানু বিবির কোন সন্তান হয়নি। পুনরায় ভানু বিবি ফিরে আসেন বাবার বাড়িতে। বাবার বাড়ি ফিরে আসার আগেই তার দুই ভাই আবুল হাসেম ও আবুল কাসেম মারা যায়। একা হয়ে যান ভানু বিবি। আস্তে আস্তে তার বয়স বাড়তে থাকে। বৃদ্ধা ভানু বিবিকে দেখার মতো আর কেউ থাকে না। পৈত্রিক ভিটায় একটি ঝুপড়ি ঘর তৈরি করে একা বসবাস করতে থাকেন ভানু বিবি।

সম্প্রতি ভানু বিবির এই জীবনচিত্র সামাজিক যোগাযোগ ও সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহীনুর আক্তার খোঁজ নিতে তার বাড়িতে ছুটে যান।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহীনুর আক্তার বলেন, ভানু বিবির এভাবে জীবনযাপন করাটা সত্যিই অমানবিক। আমরা ভানু বিবির কথা জানতে পেরে তার বাড়িতে ছুটে এসেছি। প্রাথমিকভাবে আমরা তাকে কিছু নগদ অর্থ, শীতের পোশাক, খাদ্যসামগ্রী, ফল ও প্রসাধনী সামগ্রী দিয়ে যাচ্ছি। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে একটি ঘর তৈরী ও বেঁচে থাকার জন্য খাবারের ব্যবস্থা করবো।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জ্ঞানের আলো পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা মনিরুজ্জামান জুয়েল বলেন, উপজেলা প্রশাসন যে পদক্ষেপটি নিয়েছে সত্যিই তা প্রসংশার দাবী রাখে। সমাজে ভানু বিবিদের যেন আর এ রকমের অসহায়ভাবে জীবনযাপন করতে না হয়। সেজন্য প্রশাসনের পাশাপাশি বিত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিত।

আরবি/জেডআর

Link copied!