শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৪, ২০২৪, ০৮:৪২ পিএম

ফাস্টফুডের দোকান দিয়ে লেখাপড়ার খরচ চলাচ্ছেন কলেজ ছাত্রী

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৪, ২০২৪, ০৮:৪২ পিএম

ফাস্টফুডের দোকান দিয়ে লেখাপড়ার খরচ চলাচ্ছেন কলেজ ছাত্রী

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বাড়ীর রান্না করা স্বাদ ধরে রাখা এবং ভেজালমুক্ত পরিবেশে খাবারে, এবার কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে দেয়া হয়েছে খাদ্যের স্টল। তাদের সাহসীকতায় এগিয়ে আসছেন কলেজের সহপাঠীরা। এ ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয়সহ অভিভাবকরা। অবসর সময় নষ্ট না করে অল্প অল্প করে টাকা জমিয়ে লোকলজ্জার ভয়কে পিছনে ফেলে পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের ক্যাম্পাসের সামনে ফাস্টফুডের স্টল দিয়েছেন কয়েকজন কলেজ শিক্ষার্থীরা। নিজেদেরকে বেকারত্ব দূর করার লক্ষে এবং পড়াশোনার খরচ মেটাতে এবার এ চিত্র দেখা যাচ্ছে কুষ্টিয়ার সরকারী কলেজের মাঠ প্রাঙ্গনে। দিয়েছেন খাবারের স্টল। খোলা আকাশের নিচে এ কলেজের শিক্ষার্থীরাই উদ্যোক্তা হয়ে ফাস্টফুড, চা-কপিসহ বিভিন্ন ধরনের তাদের পছন্দমত ভেজালমুক্ত খাবার তৈরি করে স্বল্প মূল্যে বিক্রি করছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের এই উদ্যোগে সাহস জুগিয়ে পাশে থাকছেন নিজ কলেজ ক্যাম্পাসের সহপাঠীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত সবসময় ভিড় লেগেই থাকে এ স্টলগুলোতে। মজার বিষয় হচ্ছে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিটি আইটেমে কম রাখেন তারা। বিকাল থেকে রাত আটটা পর্যন্ত চালু থাকে স্টলগুলো। তাসকিয়া, কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের শিক্ষার্থী ও নারী উদ্যোক্তা।

তিনি বলেন, এসএসসি ও এইচএসসি ঢাকাতে পরীক্ষার দেওয়ার মহামারী করোনার তার স্বপরিবার পরিজন কুষ্টিয়ায় চলে আসেন। কুষ্টিয়া সরকারী কলেজে অনার্সে ভর্তি হয়। এর পর কিছু একটা করার সিদ্ধান্ত নেন এ ছাত্রী। চারমাস আগে সরকারী কলেজের মাঠ প্রাঙ্গনে একটি টেবিল নিয়ে খোলা আকাশের নিচে ফাস্টফুট বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেন। তার কিছু সহপাঠিরা তাকে অনেক সাহায্য করে এ বিষয়ে। এ ছাত্রী এখন ফাস্টফুডের দোকান দিয়ে তার লেখাপড়া খরচ চলে যাচ্ছে।  

খেতে আসা শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাদের এই উদ্যোগটা খুবই প্রশংসনীয়। অনেক সময় শিক্ষার্থীরা বেকার বসে থেকে ডিপ্রেশনে চলে যায়। অনেক সময় তারা মাদক গ্রহণ করে, বিভিন্ন অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে তাদের উদ্যোক্তা হয়ে ওঠা প্রশংসার দাবিদার।

অভিভাবকরা বলছেন-পড়াশোনার পাশাপাশি সৎ পথে যদি কিছু আয় করে তাহলে খারাপ নয়। তাদের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। 

আরবি/জেডআর

Link copied!