শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


গাজীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৭, ২০২৪, ০৩:২২ পিএম

শিক্ষার্থী তাজবির হত্যায় গ্রেপ্তার ৬

গাজীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৭, ২০২৪, ০৩:২২ পিএম

শিক্ষার্থী তাজবির হত্যায় গ্রেপ্তার ৬

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকায় ধাওয়া করে পুলিশ ফাঁড়ির পাশে তাজবির হোসেন শিহান (২৬) নামে যুবককে হত্যার ঘটনায় জড়িত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে সালনা, কোনাবাড়ি, বাসন ও টঙ্গীতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গত বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে অফিসে যাওয়ার পথে উপজেলার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের হানিফ স্পিনিং মিলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি মামলা করেন।

নিহত তাজবির হোসেন শিহান উপজেলার মৌচাক জামতলা এলাকার তানভির হোসেন নান্নু মিয়ার ছেলে। উত্তরার একটি কল সেন্টারে চাকরি করতেন তিনি।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- তাকওয়া পরিবহনের চালক ময়মনসিংহ ধোবাউরা উপজেলার আমগাছীহান্দা গ্রামের হালিম উদ্দিনের ছেলে সরওয়ার হোসেন (২৮), সিএনজি চালক কুড়িগ্রাম রৌমারি উপজেলার কাশিয়াবাড়ি গ্রামের আলী আজগরের ছেলে নাজিম উদ্দিন (৩৫), সিএনজি চালক কুড়িগ্রাম ওলিপুর থানার মধুপুর গ্রামের আজগর আলীর ছেলে ফুল ইসলাম (৪২), আজমেরি বাসের হেলপার লক্ষ্মীপুর সদরের জামেরতলী গ্রামের মালেকের ছেলে জুয়েল (২৪), তাকওয়া বাসের স্টাফ জয়পুরহাটের মোহনপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে মো. মিলন (২৭) ও চায়ের দোকানদার ভোলার চরফ্যাশনের সুলতান বয়াতির ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩৫)।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী তাজবীর হোসেন শিহান মৌচাক হানিফ স্পিনিং মিলের সামনে গত বৃহস্পতিবার ভোরে ছিনতাইকারীদের কবলে পরেন। তারা নিহতের হাঁটুতে ছুরিকাঘাত করে তার মোবাইল ফোন, স্টুডেন্ট কার্ড, ভিসা কার্ডসহ মানিব্যাগ ও হাতে থাকা ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। পরে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় একটি মামলা হলে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে নামে পুলিশ। প্রথমে একটি চোরাই মোবাইলে কারবারি আনোয়ার হোসেনের থেকে নিহতের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে গ্রেপ্তার ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামিদের সনাক্ত করা হয়। এরপর সোমবার রাতে সালনা, কোনাবাড়ি, বাসন ও টঙ্গীতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপ্স) আমিনুল ইসলাম বলেন, “তারা একটি ছিনতাইকারী চক্র। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে তারা সিএনজিতে করে চন্দ্রা, মৌচাক, কোনাবাড়ি, চৌরাস্তা, টঙ্গী এলাকায় ছিনতাই করেন। তাদের থেকে নিহতের মোবাইল ফোন, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্ট কার্ড, ভিসা কার্ডসহ ৪টি মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে ডিমান্ড চাওয়া হবে।”

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) রবিউল ইসলাম, কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াদ মাহমুদ, মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক মহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

আরবি/জেডআর

Link copied!