দুপচাঁচিয়ায় আলু চাষে কৃষকের মুখে হাসি

খাদ্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত পশ্চিম বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা। এবার এই উপজেলায় ৯ শত ৫০ হেক্টর বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে আলুর চাষ তাই কৃষকের মুখে হাসি। আলুর ভালো ফলনের সঙ্গে ভালো লাভের স্বপ্ন দেখছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা। কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের পরামর্শে এবার ৫ হাজার ৬শ ৫০ হেক্টর জমিতে উফসী ও স্থানীয় জাতের আলু চাষ করা হয়েছে। গত বছর উফসী জাতের আলু বিঘা প্রতি প্রায় ১০০ মণ ও স্থানীয় জাতের আলু বিঘা প্রতি ৬০ মণ উৎপাদন হয়ে ছিল।

উপজেলা কৃষি অফিস রাত্রে জানা যায়, চলতি রবি শস্য মৌসুমে এ উপজেলায় ৫হাজার ৬শ ৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে উফসী জাতের আলু ৪হাজার ৫শ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের আলু ১ হাজার ১শ ৫০ হেক্টর জমিতে। কৃষকরা আলুতে ভালো দাম পাওয়ায় গতবারের চেয়ে এবার বেশি করে আলু চাষের উপর আগ্রহ বেড়েছে । এই মৌসুমে দুটি পৌরসভা ও ছয়টি ইউনিয়নে বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে আলু চাষে কৃষকেরা দ্বিগুন ফলনের আসা। 

উপজেলা বিভিন্ন এলাকার মাঠ ঘুরে ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভালো ফলনের আশায় কৃষকেরা রাত দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। চলতি রবিশস্য মৌসুমে এখন পর্যন্ত কোন প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় আলু চাষের পরিবেশ অনুকূলে থাকায় কৃষকেরা আলুর বাম্পার ফলনের আশা করছেন। মাঠ পর্যায়ে আলু চাষীদেরকে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে যথাযথ পরামর্শ ও কারিগরী সহযোগিতার কারণে আলু ক্ষেত অনেকটা রোগ বালাই মুক্ত হওয়ায় এখন পর্যন্ত বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকেরা। তালোড়া ইউনিয়নের কৃষক সাইদুল ইসলাম বলেন,বিগত বছরে আলুর ফলন ভালো হওয়ায়  দামও ভালো পেয়েছি। এবারও ৪বিঘা জমিতে আলুর চাষ করেছি ভালো ফলনের আশায়।১থেকে দেড় মাসের মধ্যে জমি থেকে উঠিয়ে বাজারজাত করতে পারবো।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাজেদুল আলম বলেন, এ উপজেলার মাটি আলু চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় গত বছরের আলু চাষ করে কৃষকেরা বেশ লাভবান হয়েছে। ইতিমধ্যেই চাষীদের সার্বিক দিক বিবেচনা করে আলু চাষের প্রয়োজনীয় সার সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। সঠিক পরিচর্যা ও আবহাওয়া ভালো থাকলে এবারও আলুর ফলন ভালো হবে। তিনি আরো বলেন পশ্চিমাঞ্চলের কিছু কৃষক মৌসুমের শুরুতেই আলুর রোপন করেছিল।