ঢাকা শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

অতিথি পাখিতে মুখরিত রামরাই দিঘি

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২, ২০২৫, ০৮:১২ পিএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার ঐতিহ্যবাহী রামরাই দিঘি এখন অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত। ২২ একর জলাশয়ের  ঐতিহ্যবাহী এই দিঘিতে বক, রাঙা ময়ূরী, ছোট সরালি, সারশ, গাঙচিল, পানকৌড়ি, পাতিহাঁস, বকসহ নানা প্রজাতির দেশি-বিদেশি হাজার হাজার পাখি। কখনো মুক্ত আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে দল বেঁধে। আবার কখনো মাছ শিকারের জন্য থাকছে ওত পেতে। ভোর থেকে সন্ধ্যা অবধি পাখির এমন আনাগোনা  চোখে পড়ে। প্রতি বছর শীতের শুরুতেই দূর দেশ থেকে হাজার হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে পাখিরা এখানে আসে একটু আশ্রয় ও খাদ্যের আশায়।

স্থানীয়রা জানায়, রামরায়-দিঘি এলাকাটি নির্জন এলাকা। শীতের শুরুতে এখানে দেশি পাখি ছাড়াও অতিথি পাখি এসেছে। দিনভর পাখির কলকাকলিতে মুখর থাকে পুরো এলাকা, এখানে কয়েক মাস থাকার পর শীতের শেষে আবার পাখিরা ফিরে যায় নিজ নিজ দেশে।

চারদিকে ডানা ঝাপটানো ওড়াউড়ির আর  কিচিরমিচির শব্দ মন কেড়ে নেয় পাখিপ্রেমীকদের। হাজার হাজার পাখি যখন শুরু করে কিচিরমিচির তখনই সৃষ্টি হয় নান্দনিক পরিবেশ। এ পুকুর দেখার জন্য রয়েছে নৌকার ব্যবস্থাও। এসব পাখি দেখতে আসা মানুষ খুশি হয়।

রামরাই দিঘির মৎস্যচাষী নওরোজ কাউসার কানন জানান, অতিথি পাখির আগমনে আমরা অনেকটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। তারপরও আমরা পাখিদের যেন সুন্দর একটি অভয়ারণ্য গড়ে ওঠে সেদিকে খেয়াল রাখছি। কেউ যেন পাখি শিকার না করতে পারে সে বিষয়ে প্রশাসন সহ আমরা সর্বদা নজরদারি করছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রকিবুল হাসান বলেন, রামরায়-দিঘি অতিথি পাখির অভয়াশ্রমে পরিনত হয়েছে। আমরা নিয়মিত খোঁজ খবর রাখছি। পাখি শিকারের কোনো সুযোগ নেই। কেউ যদি পাখি শিকার করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।