বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় নকল স্বর্ণমূর্তি সহ ৩ প্রতারক গ্রেপ্তার। ২৮ অক্টোবর সোমবার দিবাগত রাতে দুপচাঁচিয়া থানাধীন গুনাহার ইউনিয়নে তালুচ এলাকা হতে নকল স্বর্ণমূর্তিসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা দুপচাঁচিয়া থানাধিন ঝাঝিরা গ্রামের মৃত-আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে হেলাল প্রামানিক (৪৩), ঝাঝিরা গ্রামের মৃত-জইমুদ্দিনের ছেলে জহুরুল ইসলাম (৩৩), লক্ষ্মীমন্ডব গ্রামের মৃত-আনছার আলীর ছেলে লুৎফর রহমান কিনা (৫৮), আসামিদের নিকট হইতে ১.২০৮ গ্রাম ধাতব পদার্থের নকল স্বর্ণেরমূর্তি জব্দ করা হয়।
সোনাতলা থানার পূর্ব তেকানি গ্রামের জুলফিকার হায়দারের স্ত্রী মোসাম্মৎ লেবু বেগম (৫০) জানান, তার স্বামী কুড়িগ্রাম জেলায় একটি এনজিওতে চাকুরী করার সুবাদে ২নং-আসামী লুৎফর রহমানের সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় ঘটে। মোসাম্মৎ লেবু বেগমের স্বামীর জুলফিকার হায়দার এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা মাধ্যমে সম্পর্ক গড়ে ওঠায় তার কাছে একটি সোনার রাধা কৃষ্ণের স্বর্ণমূর্তি আছে বলে বিক্রয় করবে যার আনুমানিক মূল্য =১,০০,০০০/-(এক লক্ষ টাকা) ভিকটিম জুলফিকার হায়দার গত ২৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় ৬.১০ মিনিটে স্বর্ণমূর্তি কেনার জন্য ২নং-আসামী লুৎফর রহমান এর মোবাইলের যার নং -০১৭০৬-৪৬৭২৪৯ এই নাম্বারে নগদ =৮০০০/-(আট হাজার টাকা) প্রেরণ করে। আর অবশিষ্ট ৯২ হাজার টাকা পরিশোধ জন্য আসামী লুৎফর রহমান ভিকটিম লেবু বেগমের স্বামী জুলফিকার হায়দার কে ২৮ অক্টোবর সোমবার গুনাহার ইউনিয়নের তালুচ বাজারে আসতে বলে জুলফিকার হায়দার ও তার স্ত্রী লেবু বেগম দু`জনে বাজারে এলে কোন এক স্থানে অবশিষ্ট ৯২ হাজার টাকা নিয়ে যেতে বললে তাদের সন্দেহ হয় এবং বিভিন্ন ধরনের তালবাহানা শুরু করলে লেবু বেগমের স্বামী জুলফিকার হায়দার গোপনে থানা পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হলে তিন প্রতারককে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় আর বাদবাকি প্রতারকেরা পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে দুপচাঁচিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফরিদুল ইসলাম জানান, নকল স্বর্ণমূর্তি বিক্রি ঘটনা সত্য ও ৩ প্রতারক গ্রেপ্তার বিষয়টি সঠিক, আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে বগুড়া বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :