টাকা নিতে এসে ৩ জ্বীনের বাদশা গ্রেপ্তার

ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে প্রতারণা করে ফাঁদে এক প্রবাসী গৃহবধূর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সময় জ্বিনের বাদশা গ্রেপ্তার।

আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঝিনাইদহ ডিবি পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল তাদের গ্রেপ্তার করে। এসময় তাদের কাছে থাকা স্বর্ণের আদলে তৈরী একটি নকল মূর্তিও উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত আসামীরা, গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার শমসপাড়ার দুলাল বিশ্বাসের ছেলে সাইফুল ইসলাম, আজিজার রহমানের ছেলে নুর আলম এবং আবু বকর সিদ্দিকীর ছেলে মামুন হোসেন । 

ঝিনাইদহ ডিবির সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল সূত্রে জানা যায়, একজন প্রবাসীর স্তীর কাছে সম্প্রতি জ্বিনের বাদশা সেজে গভীর রাতে মোবাইল করে প্রতারণা চক্রটি। ফোন রিসিভ করা মাত্রই বিথী খাতুন ভৌতিক শব্দ শুনতে পান। তখন চক্রটির মধ্যে একজন বলে ওঠে আমি জ্বিনের বাদশা বলছি। তুই জ্বিনের সঙ্গে কথা বলছিস রে মা। আমি কোহিকাপ শহরের এক ভাসমান মসজিদ থেকে বলছি। তুই তোর পরিচয় দে মা, তোর মঙ্গল হবে। যদি পরিচয় না দিস তবে যে তুই পরিবারসহ ধ্বংস হয়ে যাবি। 

উল্লেখ্য, বিথী খাতুনের বিবাহের পর কোন সন্তান হতো না, অনেক চেষ্টার ঠিক ১২ বছর পর এক সন্তান হওয়ায় তার মনে ভয় ঢুকে যায় এখনই ধ্বংস হয়ে যাবার কথা শুনে। একপর্যায়ে তাদের ফাঁদে পা দিয়ে ফেলেন ঐ ভুক্তভোগী এরপরে কোরআন শরীফ এবং জায়নামাজ কেনা বাবদ তাদের ২০ হাজার টাকা নগদের মাধ্যমে প্রদান করেন। এর কিছুদিন পর আজ ঐ চক্রটি শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে আসে বিথী খাতুনকে স্বর্ণ সাদৃশ্য একটি নকল মূর্তি দিতে। তাদের এই খবর গোপন সূত্রে জানতে পেয়ে ঝিনাইদহ সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের সদস্যরা তাদের হাতেনাতে গ্রেফতার করে।

ঝিনাইদহ সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. খালিদ হাসিন (বিপিএম সেবা), এসআই রবিউল ইসলাম, এসআই কামরুজ্জামান ও এএসআই ইখলাচুর রহমান অভিযানের নেতৃত্ব দেন। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানায় আজ দুপুরে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।