রাজশাহীর পুঠিয়া তারাপুর এলাকার কৃষক রুহুল আমীন পেঁয়াজের চারা কেনার জন্য গিয়েছিলেন বানেশ্বর হাটে। সেখানে ২৫ কেজি পেঁয়াজের চারা কেনার পর তার কাছ থেকে ১০০ টাকা খাজনা আদায় করা হয়েছে। বিক্রেতার কাছ থেকেও মণ প্রতি ১০০ থেকে ২০০ টাকা খাজনা নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি তার। খাজনা আদায়ের রশিদে ১০০ টাকা লিখা থাকলেও আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।
অথচ মান ভেদে এক মণ চারার দাম ৯০০ টাকা থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। এতে খাজনাই দিতে হচ্ছে ২০০ টাকা। গত মৌসুমে ২ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করেছিলেন।
তাঁর ভাষ্য, দামের কারণে ও ভালো মানের বীজ সংগ্রহ করতে না পারায় এবার ১ বিঘা জমিতে আবাদ করছেন।
দেশের অন্যতম পেঁয়াজ উৎপাদনকারী এলাকা হিসেবে পরিচিত রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা। এলাকার হাটগুলোতেও জমে উঠেছে পেঁয়াজ চারার হাট। গত মৌসুমের তুলনায় এবার চাষিরা কম দামে চারা কিনতে পারছেন। তবে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ করেছেন রুহুল আমিনসহ আরও অনেক ক্রেতা-বিক্রেতা।
তাদের অভিযোগ বিক্রি করতে আসা ও চারা ক্রয় করতে আসা সকলের কাছ থেকেই অতিরিক্ত খাজনা আদায় করছেন হাট ইজারদার পেঁয়াজের চারা বিক্রি করতে আসা ভাল্লুকগাছি চক-দোমাদি গ্রামের আশরাফুল ইসলাম জানান, চারার দাম গত মৌসুম থেকে এবার কম। তবে কম দামে চারা বিক্রি করলেও অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ তাঁর।
আরেক বিক্রেতা চক ধাদাশ গ্রামের মুকুল হোসেনের ভাষ্য, গত মৌসুমের তুলনায় প্রতি কেজি পেঁয়াজের চারা ২৫/৩০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি এবার ২৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত বছর ছিল ৬৫ থেকে ৮০ টাকা।
বানেশ্বর হাটের ইজারাদার জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমি তো হাটে গিয়ে বসে থাকতে পারি না। তবে পেঁয়াজের চারার খাজনা সম্পর্কে আমার জানা নাই, আমাদের লিস্ট দেখতে হবে। এরকম কোন অভিযোগ থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বানেশ্বর হাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মতিউর রহমান মতি বলেন, পেঁয়াজের চারার অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের আমাদের কাছে কোন লিখিত অভিযোগ নেই। আমি অসুস্থ রাজশাহীতে ডাক্তার দেখাতে এসেছি। আমি গাড়িতে আছি, গাড়ি থেকে নেমে আপনাকে ফোন দিচ্ছি। তা না হলে আপনি কালকে আমার সঙ্গে দেখা করেন।
আপনার মতামত লিখুন :