ঢাকা বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫

চট্টগ্রামে তিন উপদেষ্টার খাল পরিদর্শন

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৮, ২০২৫, ০৮:৪৪ পিএম

চট্টগ্রামে তিন উপদেষ্টার খাল পরিদর্শন

চট্টগ্রামে তিন উপদেষ্টার খাল পরিদর্শন

প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান খুঁজতে ঢাকা থেকে ছুটে গেছেন তিন উপদেষ্টা। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত তিন উপদেষ্টা চট্টগ্রামে পৌঁছে জলাবদ্ধতা প্রকল্পের আওতাধীন জামলখান খাল, মির্জাখাল এবং বারইপাড়া খালসহ বিভিন্ন খাল পরিদর্শন করেন।

তিন উপদেষ্টা হলেন-

১। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

২। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান

৩। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক।

খাল পরিদর্শন করে তারা জানান, জলাবদ্ধতা প্রকল্পের ব্যর্থতার দায় সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো এড়াতে পারে না। এই বছরের মধ্যে দৃশ্যমান উন্নয়ন দেখতে চায় সরকার।

জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য সিডিএ, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (সিসিসি), এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকলেও সমন্বয়হীনতা, বরাদ্দের জটিলতা এবং ভূমি অধিগ্রহণের সমস্যার কারণে কাজ এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি।

পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘জনগণের ভোগান্তি হলে এমন প্রকল্প দিয়ে লাভ কি। আমরা বিকল্প চিন্তা করবো।’

সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘আমরা এ বছরের মধ্যে দৃশ্যমান উন্নয়ন চাই। মার্চ পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করে দেবো। এর মধ্যে কাজ শেষ করতেই হবে।’

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন মন্তব্য করেন, ‘অতীতের সরকারের আমলে অনেক দুর্নীতি হয়েছে। মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি হয়েছে। সব কিছু লুটপাট করা হয়েছিল।’

সরকারি সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে উপদেষ্টারা বলেছেন, প্রকল্পের ব্যর্থতার দায় কেউ এড়াতে পারবে না। এ বিষয়ে তারা আরও কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছেন।

জলাবদ্ধতা প্রকল্পের কাজ আগামী জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। এখন পর্যন্ত প্রকল্পের ৭৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। তবে বাকি কাজগুলো দ্রুত সম্পন্ন করতে না পারলে নগরবাসীর ভোগান্তি চলতেই থাকবে।
 

আরবি/জেআই

Link copied!