চট্টগ্রামের পটিয়ায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে খতমে কুরআন, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার ১৯ জানুয়ারি দুপুরে পটিয়া উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে বিএনপি, ছাত্রদল, ওলামাদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
পটিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে ও পৌর বিএনপির সদস্য সচিব গাজী আবু তাহেরের সঞ্চালনায় এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক এনাম।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, পটিয়া ক্লাবের সদস্য সচিব মোজাম্মেল হক, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী কালাম উদ্দিন, আবদুল মাবুদ, হামিদুর রহমান পেয়ারু, আবসার উদ্দিন সোহেল, আব্দুর রহমান হিলু,জসিম উদ্দিন, আবছার উদ্দিন, আলী আকবর,জাকির মেম্বার, আবছার উদ্দিন, নাজিম উদ্দিন, অহিদুল আলম চৌধুরী পিবলু, হাবিবুর রহমান রিপন, ওবায়দুল হক রিকু, এসএম নয়ন, শাহাদাৎ হোসেন, মাহবুবুল আলম পারভেজ, মিজানুর রহমান, বুলবুল আহম্মদ, আলমগীর আলম, ইসহাক চৌধুরী, জালাল উদ্দীন ছোটন প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এনামুল হক এনাম বলেন, অসাধারণ দেশপ্রেমিক, অসম সাহসিকতা, সততা-নিষ্ঠা ও সহজ-সরল ব্যক্তিত্বের প্রতীক জিয়াউর রহমান। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধে খেমকারান সেক্টরে অসীম সাহসিকতার সঙ্গে তিনি যুদ্ধ করেন। দেশের ক্রান্তিকালে তিনি বারবার ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় দিকনির্দেশনাহীন জাতি যখন সিদ্ধান্তহীনতায় ছিল, তখন স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের একটি সেক্টরের কমান্ডার হিসেবে যুদ্ধ পরিচালনা করেন। বিশ্ব মানচিত্রে তিনি বাংলাদেশ ও বাংলাদেশিদের ব্যাপকভাবে পরিচিত করিয়েছেন স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্যে। জাতির মর্যাদাকেও বিশ্বব্যাপী সমুন্নত করেছেন তাঁর শাসনামলে।
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমানের সৈনিক ও রাজনৈতিক জীবনের সততা, নিষ্ঠা ও নিরলস পরিশ্রম প্রতিটি মানুষ শ্রদ্ধাভরে এখনো স্মরণ করে। একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক হিসেবেও তাঁর পরিচিতি সর্বজনবিদিত। সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে শহীদ জিয়ার রাজনৈতিক দর্শন ও দিকনির্দেশনা। তাঁর প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল বিএনপি দেশের স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে তিনবার রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিল।
রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে জিয়াউর রহমান দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র, বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন। দেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে আমৃত্যু চেষ্টা চালিয়েছেন। জাতির মধ্যে একটি নতুন উদ্দীপনার সৃষ্টি করে তাদের জাগিয়ে তুলতে তিনি সফল হয়েছিলেন। স্বল্পকালীন শাসনকার্য পরিচালনায় তিনি যে গভীর দেশপ্রেম, সততা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছিলেন তা আজও কেউ অতিক্রম করতে পারেনি। এমনকি তাঁর রাজনৈতিক বিরোধীরাও মৃত্যুর পর তাঁর সততা নিয়ে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারেনি। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এ কারণেই এ দেশের জনগণের অন্তরে স্থায়ী আসন করে নিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :