ঢাকা রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫

শেরপুরে মাঠে মাঠে সরিষা ফুলের সমারোহ

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০২৫, ০৮:৩৯ পিএম

শেরপুরে মাঠে মাঠে সরিষা ফুলের সমারোহ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ভোরের মিষ্টি সোনা রোদে ঝলমল করা অপরূপ রাণী হলুদ সরিষা ফুলের অবারিত সৌন্দর্য্যের মুগ্ধতা এখন লুটোপুটি খাচ্ছে গ্রামে গ্রামে। এমন দৃশ্য থেকে পিছিয়ে নেই বগুড়ার জেলা। এ অঞ্চলের প্রতিটি মাঠে মাঠে এখন সরিষা ফুলের ঘ্রাণ ছড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষা চাষিরা বাম্পার ফলনের আশা করছে। ভোজ্য তেল হিসেবে সরিষার তেলের চাহিদা বৃদ্ধির পাশাপাশি দাম বেশি হওয়ায় আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। অন্যান্য ফসলের তুলনায় সরিষা চাষে কম খরচ, কম শ্রম এবং দ্রুত ফলন পাওয়া যায়। যে কারণে চাষিরা আবাদে লাভ বেশি পায়। এছাড়াও সরিষা চাষ করলে জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পায় আর সরিষা তোলার পর বোরো ধান রোপণ করা সম্ভব। যার কারণে প্রতি বছরই সরিষার চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বগুড়ায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে সরিষার।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে জেলায় সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা। সরিষার দামও ভালো পাওয়ার আশা করছেন এ জেলার চাষিরা। চাষিরা বলছে, সরিষা  তেলের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার কারণে বাজারে সরিষার দাম এখন বেশ ভালো। বাজার পরিস্থিতি এমন থাকলে এবারও ভালো আয় হবে সরিষা বিক্রিতে।

শেরপুর উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এবার এ উপজেলায় ৩ হাজার ৭শ’ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও অর্জিত হয়েছে ২ হাজার ৬৮০ হেক্টর জমি। যা গত বছর ছিল ৩ হাজার ৬৬০ হেক্টর।  উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার ৩৬৫ মেট্রিকটন।

এরমধ্যে টরি-৭ জাতের সরিষা ৪১০ হেক্টর, বিনা সরিষা-৯ জাতের ১২৬ হেক্টর, বিনা সরিষা-১১ জাতের ৫ হেক্টর, বারি সরিষা-১৪ জাতের ১ হাজার ৮৬১ হেক্টর, বারি সরিষা-১৭ জাতের ২৭৫ হেক্টর, বারি সরিষা-১৮ জাতের ৩ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে। তবে এবার লক্ষ্যমাত্রার  চেয়ে বেশি উৎপাদন হবে। 

উপজেলার খামারকান্দি গ্রামের কৃষক আব্দুর রহমান বলেন, সরিষা চাষে দু’টি লাভ হয়। প্রথমত হলো দুই আবাদের মাঝখানে যে সময়টুকু পাওয়া যায় সেই সময়েই এই আবাদ ঘরে তোলা যায়। এছাড়াও ভালো ফলনের পাশাপাশি বাজারে ভালো দাম পেলে ভালো লাভ হয়। দ্বিতীয়ত সরিষা চাষের সময় যে পরিমাণ রাসায়নিক ও জৈব সার ব্যবহার করা হয় তাতে পরবর্তীতে ধানের আবাদের সময় নতুন করে আর কোন সার দিতে হয় না। ফলে ধান চাষে কম খরচে ফসল ঘরে তোলা যায়।

উপজেলা কৃষি অফিসার ফারজানা আক্তার বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এবার একটু বেশী সরিষা চাষের দিকে আগ্রহ হয়েছে কৃষক। চলতি রবিআবহাওয়া কৃষির জন্য অনুকূল হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করা হচ্ছে। বাজারে সরিষা তেলের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে, ফলে সরিষা ভালো দামে বিক্রিও করতে পারছেন।

আরবি/জেডআর

Link copied!