ঢাকা শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

রঙিন কপি চাষে সফল কৃষক জামাল

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২৫, ০৭:৩৪ পিএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে বাণিজ্যিকভাবে রঙিন ফুলকপি ও বাধা কপি চাষ করে কৃষক মো. জামাল স্থানীয়ভাবে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। তার আবাদকৃত ২০ শতাংশ জমিতে প্রায় দেড় লাখ টাকার কপি উৎপাদন হয়েছে। সোমবার (২০ জানুয়ারি) সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমনসা গ্রামের কৃষক জামাল তার সফলতার কথা জানিয়েছেন। তার দেখা দেখি উচ্চমান পুষ্টি সমৃদ্ধ রঙিন কপি চাষে উদ্ভুদ্ধ হচ্ছে অন্যান্য কৃষকরা।

জামালের ভাষ্যমতে, তিনি বাড়ির পাশেই ২০ শতাংশ জমিতে সাদা, গোলাপি, হলুদ ফুল কপি ও লাল বাঁধা কপি  (রেডকেবল) চাষ করেন। উৎপাদন আশানুরুপ হওয়ায় তার মুখে হাসি ফুটেছে। রঙিন কপির দাম বেশি পাওয়ায় তিনি শতভাগ লাভবান হবেন বলে আশা করছেন। জমিতে চাষসহ ফসল উৎপাদন তার খরচ পড়েছে প্রায় ৭০ হাজার টাকা। তার উৎপাদিত কপি প্রায় দেড় লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

জানা গেছে, লাল বাঁধাকপি-রুবি কিং জাতের কপি উৎপাদনে জৈব সার ও জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া পোকা থেকে রক্ষায় হলুদ ফাঁদ ও সেক্স ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন করা হয়।

আক্তার উজ জামান নামে এক ব্যক্তি জানান, চরমনসা এলাকায় একজন কৃষক রঙিন কপি চাষ করছেন। এ কপিগুলো সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। এজন্য ক্ষেত থেকেই কপি কিনতে এসেছি। দাম বেশি হলেও বাজারে এ কপির চাহিদা রয়েছে।

কৃষক মো. ইব্রাহিম বলেন, জামাল নতুন করে হলুদ, গোলাপি রঙের ফুলকপি ও লাল রঙের বাঁধাকপি চাষ করেছেন। ভালোই উৎপাদন হয়েছে। সাদা কপির দাম বাজারে এখন খুবই কম। কিন্তু রঙিন কপির দাম এখনো অনেকে বেশি। প্রতিকেজি রঙিন ফুল কপি এখন ১৫০ টাকা ও রঙিন বাঁধা কপি ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আগামিতে আমিও চাষ করবো।

কৃষক মো. জামাল রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, এ অঞ্চলে আমি একাই রঙিন কপি চাষ করেছি। এখন অনেকেই এসে আমার কাছে এ কপি চাষের বিষয়ে জানতে চাচ্ছে। বাজারে কপির ভালো চাহিদা রয়েছে। খেতেও সুস্বাদু। বাজারে এ কপি সবার নজর কাড়ে।  এছাড়া আমার বাগানটি একটি এনজিও সংস্থা প্রদর্শনী হিসেবে ব্যবহার করছে।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসান ইমাম রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, পরীক্ষামূলক অবস্থায় একজন কৃষক রঙিন কপি আবাদ করেছেন। তিনি ভালো বাজারমূল্য ভালো পাচ্ছেন। রঙিন কপিগুলো পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এনিয়ে আমরা কৃষকদেরকে প্রশিক্ষিত করে তুলছি। আমরা প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছি এবং কৃষকদেরকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি, যেন পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ রঙিন কপি উৎপাদনে আগ্রহী হয়। তাদেরকে অনুপ্রাণিত করছি যেন রঙিন কপিগুলো চাষ করে। এতে কৃষক অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে।