মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের রাঙ্গিনগর গ্রামের যুবদল নেতা নোমান হোসেন (৩৪) হত্যায় পাঁচ সন্ত্রাসীর নাম উল্লেখ ও ২ থেকে ৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকালে নিহত যুবদল নেতা নোমানের বাবা হাজী লেচু মিয়া এ মামলা করেন। আসামিরা মাদক ব্যবসায়ও জড়িত আছে বলে জানান স্থানীয়রা।
মামলার আসামিরা হলেন-
১। মারজান আহমদ।
২। রায়হান আহমদ ওরফে রেহান।
৩। আবেদ আহমদ।
৪। নাঈম আহমদ।
৫। জাকির আহমদ।
মামলার এজাহারে বাদি হাজী লেচু মিয়া অভিযোগ করেন, তার ছেলে ভিকটিম নোমান হোসেন সিএনজি ড্রাইভিংয়ের পাশাপাশি আগরআতর ব্যবসা করত। আসামীরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। নোমান হোসেন আসামী মারজান আহমদ ও রায়হান আহমদ ওরফে রেহানের নিকট আগর ব্যবসার ২০ হাজার টাকা পাওনা ছিল। বিবাদীরা দীর্ঘদিন যাবত উক্ত টাকা না দিয়ে তাকে ঘুরিয়েছিল। নোমান কোনভাবেই আসামীদের নিকট হতে টাকা আদায় করতে না পেরে এলাকার কিছু মুরব্বির নিকট বিচার প্রার্থী হয়। বিচারপ্রার্থী হওয়ায় বিবাদীরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যার সুযোগ খোঁজে। শনিবার রাত ৭ টার দিকে নোমান হোসেন ভাড্ডাবাজারস্থ জনৈক জায়েদ আহমদের দোকান থেকে পান নিয়ে দোকানের সম্মুখে দাঁড়িয়ে খাচ্ছিল। এসময় আসামী মারজান আহমদ, রায়হান আহমদ ১টি মোটরসাইকেলে এবং আসামী নাঈম আহমদ, আবেদ আহমদ ও জাকির আহমদ আরেকটি মোটরসাইকেলে রাত সোয়া ৭টার দিকে ভাড্ডাবাজারে গিয়ে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী নোমান হোসেনকে হত্যার সুযোগ খুঁজতে থাকে। পান দোকানের সামনে লোকজনের ভিড় কমে গেলে ৫ আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন ছুরি, ডেগার, কিরিচ নিয়ে নোমান হোসেনকে চতুরদিকে ঘিরে নির্মমভাবে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
বড়লেখা থানার ওসি (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম রূপালী বাংলাদেশকে জানান, ঘটনার পরই আসামিরা পালিয়েছে। বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের পাওয়া যায়নি। আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার বাড্ডাবাজারে ছুরিকাঘাতে নোমান হোসেনকে হত্যা করা হয়।