গাজা যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার দুই দিনের মাথায় অধিকৃত পশ্চিম তীরে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) জেনিন শহরে শুরু হওয়া এই অভিযানে ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনী যুদ্ধবিমান, সাঁজোয়া যান, এবং শার্পশুটার ব্যবহার করেছে। হামলায় এক শিশুসহ কমপক্ষে ১০ জন নিহত এবং ৪০ জন আহত হয়েছেন।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নতুন এই অভিযানের নাম দিয়েছেন ‘আয়রন ওয়াল’। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, জেনিন থেকে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করাই এই অভিযানের লক্ষ্য। এতে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর পাশাপাশি পুলিশ এবং নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেট অংশ নিয়েছে।
ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানিয়ে ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস পশ্চিম তীরের জনগণকে সংঘবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের বিকল্প নেই।
ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রীয় সংস্থা ওয়াফার তথ্য অনুযায়ী, ইসরাইলি বাহিনী জেনিনের শরণার্থী শিবির ঘেরাও করে রেখেছে এবং সেখানে অ্যাম্বুলেন্স ও উদ্ধারকর্মীদের প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। স্থানীয় ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ইসরাইলি বুলডোজার ও সাঁজোয়া যান জেনিনে ঢুকে পড়েছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে একজন কিশোর এবং নয়জন পুরুষ রয়েছেন। আহতদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, নিহতদের মধ্যে অন্তত দুজন নিরস্ত্র ছিলেন।
ইসলামিক জিহাদের সশস্ত্র শাখা আল কুদস ব্রিগেড ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। সংগঠনটি অভিযোগ করেছে, নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে পশ্চিম তীরে হামলার নির্দেশ দিয়েছেন। তাদের দাবি, বন্দীদের মুক্তি উদ্যাপন এবং ফিলিস্তিনিদের ঐক্য বিনষ্ট করতেই ইসরায়েল এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
জেনিনে ইসরায়েলি বাহিনীর আক্রমণ ও ফিলিস্তিনি সংগঠনগুলোর প্রতিরোধের ফলে সংঘাতের তীব্রতা আরও বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পশ্চিম তীরে নতুন করে সহিংসতার আশঙ্কায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মহল।
আপনার মতামত লিখুন :