ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদটি এক মাসের বেশি সময় ধরে শুন্য থাকায় নামজারিসহ নানা কাজে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। উপজেলার ২১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার নামজারি ও জমাখারিজসহ ভূমিসংক্রান্ত নানা কাজে ধীরগতি দেখা দিয়েছে।
নামজারি জমা খারিজের অভাবে অনেকেরই জমি বিক্রি প্রায় বন্ধ হয়ে আছে। তবে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি নিরসনে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে চরফ্যাশনে ভূমি কমিশনার নিয়োগের আশ্বাস জেলা প্রশাসকের।
উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবুল হাছনাত বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যান। বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসনা শারমিন মিথি নিজ দায়িত্বের পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ওই পদে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
উপজেলার নুরাবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ার শিবলু রহমান নোমান জানান, প্রায় ২ মাস আগে নামজারি জমা খারিজের আবেদন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত জমির নামজারি জমা খারিজ হয়নি। কবে নাগাদ জমা খারিজ হবে তাও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না ওই অফিসের কেউ।
উপজেলার আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা আবদুল মতিন পাটওয়ারী জানান, ভূমি কমিশনার না থাকায় জমির নামজারি করতে পারছি না। সেবা নিতে এসে আমার মতো অনেকেই এখন বেকায়দায় পড়েছেন।
দলিল লেখক আবদুল হক জানান, ডিসেম্বর মাসের পুরো সময়টা ভূমি মন্ত্রণালয়ের সার্ভার বন্ধ থাকায় নামজারিসহ বিভিন্ন সেবা থেকে বঞ্চিত ছিল সাধারণ মানুষ। এছাড়া বর্তমানে চরফ্যাশনে ভূমি কমিশনার না থাকায় নামজারি করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ফলে সঠিক সময়ের মধ্যে সেবা গ্রহীতারা নামজারি করতে না পারায় দলিল রেজিস্ট্রি করতে পারছেন না।
চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসনা শারমিন মিথি জানান, নিজ দায়িত্বের পাশাপাশি সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদে অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছি। তাই পূর্ণ সময় দেওয়া সম্ভব হয়না।
ভোলা জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান জানান, সাধারণ মানুষের ভোগান্তি নিরসনে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে চরফ্যাশনে ভূমি কমিশনার নিয়োগ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :