জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে পৃথক স্থানে নিজ বাড়ি থেকে দুই নারীর লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের আলীমামুদপুর মধ্য পাড়া ও তিলকপুর ইউনিয়নের তিলকপুর পূর্ব বাজার থেকে ওই দুটি লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন- গোপীনাথপুর ইউনিয়নের আলীমামুদপুর মধ্য পাড়ার হোসেন আলীর স্ত্রী আনজুয়ারা (৬০) এবং তিলকপুর পূর্ব বাজার এলাকার কাঠ ব্যবসায়ী বাবু মিয়ার স্ত্রী আরিফা (২৮)। আনজুয়ারার লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর ও আরিফার লাশ থানা হেফাজতে নিয়ে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তিলকপুর পূর্ব বাজারে কাঠ ব্যবসায়ী বাবু মিয়া তার বাড়িতে স্ত্রী আরিফা গলায় ফাঁস দিয়েছে বলে চিৎকার করতে থাকে। এসময় স্থানীয়রা এসে দেখেন বাড়ির মধ্য ঘরের চৌকির উপরে আরিফার দেহ রাখা আছে। কিছুক্ষণ পরে বাড়িতে লোকজনের ভীর হবে বলে কৌশলে সবাইকে বাড়ি থেকে বাহির করে দিয়ে বাহির দরজায় তালা দিয়ে পালিয়ে যায় স্বামী বাবু। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে ইউপি সদস্য ও স্থানীয়দের সহায়তায় তালা ভেঙে লাশ উদ্ধার করে থানায় নেয়।
তিলকপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য বাদশা আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পুলিশের উপস্থিতিতে বাড়ির প্রধান দরজার তালা ভেঙে ভিতরে দেখি আরিফার লাশ চৌকিতে শুয়ানো আছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছে। এ ঘটনার পর থেকে তার স্বামী বাবুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের আলীমামুদপুর মধ্য পাড়ায় নিজ বাড়ির গোয়ালঘর থেকে আনজুয়ারা (৬০) নামের এক নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।পরিবারের দাবী, তিনি দীর্ঘ দিন থেকে নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন এবং তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় লাশটি পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেছে থানা পুলিশ।
আনজুয়ারার স্বামী হোসেন আলী বলেন, সন্ধ্যার পর আমি ঔষধ নিতে বাজরে গেলে ফাঁকা বাড়িতে গোয়ালঘরের তালার বর্গায় ফাঁস দিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে। আমার স্ত্রীর সাথে কারো কোন ঝামেলা ছিলনা। আমাদের কোন অভিযোগ নেই।
গোপীনাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, আনজুয়ারা শারীরিকভাবে অসুস্থ ও মানসিক ভারস্যাহীন ছিলেন। সকলের ধারনা সে আত্মহত্যা করেছে।
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান বলেন, পৃথক স্থানে থেকে দুই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় আনজুয়ারার লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর ও আরিফার লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর প্রস্ততি চলছে। দুটি ঘটনায় এখনো আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ দেয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :