ঢাকা বুধবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫

এস এ পরিবহনের ট্রাক থেকে চোরাচালান পণ্য আটক

মো. জামাল হোসেন, বেনাপোল

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২৫, ০৩:১০ পিএম

এস এ পরিবহনের ট্রাক থেকে চোরাচালান পণ্য আটক

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

চোরাচালান বিরোধী বিশেষ টাস্কফোর্স বেনাপোলের আমড়াখালি চেকপোস্ট থেকে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ি, থ্রিপিচ, চকলেট, জিরা, কিচমিচ, কম্বল, তৈরী পোশাক এবং বিভিন্ন প্রকার কসমেটিক্স সামগ্রী আটক করেছে। আটককৃত বিভিন্ন পণ্যের মুল্য ৮৬ লাখ টাকা বলে বিজিবি জানিয়েছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে এক প্রেস নোটে এ তথ্য জানান বিজিবি।

যশোর ব্যাটালিয়ন ৪৯ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী ও উপ অধিনায়ক মেজর ফারজিন ফাহিম জানান, বেশ কিছুদিন যাবত চোরাকারবারীরা সাধারণ পণ্যের অন্তরালে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনায়নকৃত ভারতীয় শাড়ি, তৈরী পোশাক, কম্বল এবং বিভিন্ন প্রকার কসমেটিক্স সামগ্রী বেনাপোল হতে এসএ পরিবহনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাচার করে আসছিল। একই সাথে এসএ পরিবহন শুল্ক আরোপকৃত বৈধ পণ্যের সাথে এ সকল চোরাচালানকৃত অবৈধ পণ্য দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে আসছিল। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, ভারতীয় বিভিন্ন পণ্য বেনাপোল হতে এসএ পরিবহনের মাধ্যমে পাচারের উদ্দেশ্য বেনাপোলে এনে জড়ো করা হয়। ভারতীয় চোরাচালানী পণ্য পাচার রোধে ম্যাজিস্ট্রেট, বিজিবি এবং পুলিশ এর সমন্বয়ে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করে বৃহস্পতিবার রাতে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করা হয়।

টাস্কফোর্সের মাধ্যমে বেনাপোলের আমড়াখালি বিজিবি’র চেকপোস্টের সামনে এসএ পরিবহনের একটি কার্গো ট্রাক (ঢাকা মেট্রো ড-১৪-০১৭০) তল্লাশি করে ভারতীয় ৮৮২টি শাড়ি, ৪৫৩টি থ্রীপিচ, ২৪৯টি তৈরী পোশাক সামগ্রী, ৪টি কম্বল, ১৮ প্যাকেট কিসমিস, ১৪ প্যাকেট জিরা, ২৩ জোড়া স্যান্ডেল, ৪৮টি রিয়েলমি হেডফোন, ৩৭ হাজার ১৬০টি বিভিন্ন প্রকার চকলেট এবং ৬৪৬টি বিভিন্ন প্রকার কসমেটিক্স সামগ্রী এর বৈধ কাগজপত্র না থাকায় জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ৮৬ লাখ টাকা। এছাড়া বৈধ কাগজ পত্র থাকায় বিভিন্ন প্রকার মোটর পার্টস, কমলা, খেজুরের গুড়, আইপিএসসহ অন্যান্য মালামালের এসএ পরিবহনের নিকট হস্তান্তর করা
হয়েছে।

টাস্কফোর্স অভিযানে নাভারণ সার্কেলের সিনিয়র এএসপি নিশাত আল নাহিয়ান, শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী নাজিব হাসান, যশোর বিজিবি ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক সোহেল আল মুজাহিদ, বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল মিয়া ও শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম রবিউল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বিজিবি অধিনায়ক জানান, ভবিষ্যতে চোরাচালান রোধে এ ধরণের টাক্সফোর্স অভিযান অব্যাহত থাকবে। জব্দকৃত চোরাচালানী মালামাল বেনাপোল কাস্টমস এ জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

আরবি/জেডআর

Link copied!