ময়মনসিংহের মোবাইল ফোনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক তরুণী (২০) কে চার যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। পরে টের পেয়ে স্থানীয় এক কৃষক ঐ তরুণীকে ধর্ষণের পর মারধর করার সময় দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করেন। জেলার ঈশ্বরগঞ্জে বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী তরুণী জেলার গৌরীপুর
উপজেলার বাসিন্দা। অন্যদিকে অভিযুক্ত চার তরুণ পার্শ্ববর্তী ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সোহাগী ইউনিয়নের চট্রি গ্রামের বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী তরুণী সংবাদ কর্মীদের জানায়, প্রায় এক বছর আগে ফোনে পেশায় ইজিবাইক চালক জাহাঙ্গীর আলমের (২৪) সঙ্গে তার পরিচয় ও সম্পর্ক হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে গৌরীপুর পৌর শহরের পাটবাজার থেকে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে তাকে ডেকে নিয়ে যান জাহাঙ্গীর। সন্ধ্যার পর তাকে চট্রি গ্রামের একটি বাড়িতে নেওয়া হয়। সেখানে আগে থেকেই একজন অবস্থান করছিলেন। জাহাঙ্গীরের সঙ্গে ইজিবাইকে ছিলেন আরও দুজন। পরে বাড়িতে নিয়ে চারজন মিলে আমাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। একপর্যায়ে তাকে ঘর থেকে একটি খোলা মাঠে নিয়ে মারধর করা হয়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় কৃষক জুয়েল মিয়া বলেন, বৃহস্পতিবার দিনগত রাত দেড়টার দিকে বোরো ধানের জমিতে সেচ দিতে গিয়ে একটি মেয়ের চিৎকার শুনতে পাই।
শুরুতে ভয় পেলেও টর্চ লাইটের আলোতে চার তরুণ ও এক তরুণীকে দেখি। তারা সবাই আমার এলাকার ছেলে। আমি কে কে বলে চিৎকার করতেই মেয়েটি দৌড়ে
আমার কাছে এসে বলতে থাকে, বাবা আমারে বাঁচাও। এ সময় চার তরুণ দৌড়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
অভিযুক্ত চার তরুণরা হলেন- সোহাগী ইউনিয়নের চট্রি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম (২৪), নাঈম মিয়া (১৯), শান্ত মিয়া (১৯) ও জীবন মিয়া (২২)। জীবন ও নাঈম কৃষিকাজ করেন এবং জাহাঙ্গীর ও শান্ত ইজিবাইক চালক।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি ওবায়দুর রহমান বলেন, ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত চারজনই ঘা ঢাকা দিয়েছে। তাদের আটকের চেষ্ঠা চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :