ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫

নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে কালিয়াকৈরে সর্বত্র বিক্রি করা হচ্ছে সিলিন্ডার গ্যাস

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২৫, ০৪:৪২ পিএম

নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে কালিয়াকৈরে সর্বত্র বিক্রি করা হচ্ছে সিলিন্ডার গ্যাস

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

১৯৯১ সালের গ্যাস সিলিন্ডার সংরক্ষণ বিপণন বিধিমালা উপেক্ষা করে যততত্র বিক্রি করা হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার। তৈরি পোশাক শিল্প খ্যাত গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে এসব গ্যাস সিলিন্ডার। চায়ের দোকান, মুদির দোকান, এমনকি খোলা রাস্তায়ও বিক্রি হচ্ছে এসব গ্যাস সিলিন্ডারের বোতল; বাদ যাচ্ছে না ওষুধের দোকানও। এতে করে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকা গুলো। 

সচেতন নাগরিক মহল মনে করছেন, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এভাবে খোলামেলাভাবে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি বন্ধ না হলে, নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাতে হবে সাধারণ জনগণের। সরু গলির ভিতরের দোকানগুলোতে দুর্ঘটনা ঘটলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়বে মহল্লা বাসি, কারণ হিসেবে তারা মনে করছেন, এসব সরু গলিতে ফায়ার সার্ভিসের কোন গাড়ি ঢুকতে না পারা। এছাড়া দোকানগুলোতে নেই  অগ্নিনির্বাপণ কোন সরঞ্জামাদি।

সরেজমিনে গিয়েও দেখা গেছে, প্রায় দোকানেই নেই কোন অগ্নি নির্বাপন সরঞ্জাম। যাদের এসব বিষয় দেখভাল করার কথা, তারাও জনবল সংকটের অজুহাতে দায়িত্ব পালন করছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। গ্যাস সিলিন্ডার বিধিমালা ১৯৯১ তে বলা হয়েছে-গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির জন্য কমপক্ষে পাকাফ্লোরসহ আধা পাকা ঘর থাকতে হবে। সেই সাথে ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপণ সক্ষমতা সংক্রান্ত লাইসেন্স ও ছাড়পত্র সহ অগ্নিনির্বাপন এক্সস্ট্রিংগাইজার(Extimguisher) মজুদ এবং ঝুঁকিমুক্ত সংরক্ষণাগার থাকতে হবে। বিধিমালার সপ্তম পরিচ্ছেদে-সিলিন্ডার গ্যাস ভর্তি ও গ্যাস পূর্ণ সিলিন্ডার মজুদ রাখার বিষয়ে বলা আছে-লাইসেন্স ব্যতীত সিলিন্ডার গ্যাস ভর্তি ও সংরক্ষণ নিষিদ্ধ। বিধিমালার ৪১ অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী কোন ব্যক্তি বিনা লাইসেন্সে সিলিন্ডার গ্যাস ভর্তি করতে পারবে না অথবা গ্যসপূর্ণ কোন সিলিন্ডার তার অধিকারে(মজুদ) রাখতে পারবে না।

কালিয়াকৈর সফিপুরবাজারে ওমেরা গ্যাস সিলিন্ডার কোম্পানির ডিলার মোঃ আব্দুর রাজ্জাক রূপালী বাংলাদেশকে জানান, গ্যাস সিলিন্ডারের ডিলারশিপ নিতে হলে খোলা জায়গার প্রয়োজন। এছাড়া বিস্ফোরক পরিদপ্তরের লাইসেন্স ও নকশা নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে হয়। আমরা তাই করছি। কিন্তু এখনো বিভিন্ন অলিগলির খুছরা ব্যবসায়ীরা লাইসেন্স ও অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা ছাড়াই ঝুঁকিপূর্ণভাবে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করে।

সত্যতা যাচাইয়ের জন্য কালিয়াকৈরের বিভিন্ন পাড়া মহল্লার অলিগলিতে পরিদর্শন করে দেখা যায়, মুদির দোকান, চায়ের দোকান, চাউলের দোকান এমনকি ফুটপাতের রাস্তায়ও গ্যাস বিক্রি হচ্ছে, বাদ জায়নি ঔষুধের দোকানও।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে, কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক রায়হান চৌধুরী রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, লাইসেন্স বিহীন গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি এবং মজুদ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে অভিমান চালাবো।

আরবি/জেডআর

Link copied!