ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫
জামালপুরের মাদারগঞ্জে গ্যাসকূপ

খনন শেষে দৈনিক মিলবে ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস

নাঈম আলমগীর, জামালপুর

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২৫, ০৮:৫৪ পিএম

খনন শেষে দৈনিক মিলবে ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে জামালপুরের মাদারগঞ্জের তারতা পাড়ায় গ্যাস কূপের খনন কাজ শুরু হয়েছে। প্রায় ১৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে জামালপুর-১ অনুসন্ধান প্রকল্পের এই গ্যাস কূপের খনন শেষে দৈনিক ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।

জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার বালিজুড়ী ইউনিয়নের তারতাপাড়া এলাকায় সাইসমিক জরিপে এর আগে একাধিকবার গ্যাসের সন্ধান মিলে। এরপর প্রয়োজনীয়
পরীক্ষা কার্যক্রম শেষ করে কূপ খননের কার্যক্রম শুরু করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। এ অনুসন্ধানী খনন কাজটি শেষ হলে দৈনিক গড়ে ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহসহ এ গ্যাস পাওয়া যাবে আগামী ২৫ থেকে ৩০ বছর। উত্তোলন করা এসব গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

বাপেক্স সূত্র জানায়, প্রায় ১৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে জামালপুর-১ অনুসন্ধান গ্যাস কূপ খনন প্রকল্পের আওতায় খননের কাজ শুরু হয়েছে। খনন কাজের সাথে বাপেক্সের
প্রকৌশলী ও শ্রমিকসহ ২২০ জনের একটি টিম জড়িত আছে। এর আগে চলতি মাসের ১২ তারিখ কূপ খননের স্থানে ড্রিলিং রিগ স্থাপন করা হয় এবং ২৪ জানুয়ারি
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এই কূপ খনন কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। টানা ৯০ দিন চলবে এই খননকাজ। এই কূপ থেকে উত্তোলিত গ্যাস দেশের সর্ববৃহৎ যমুনা সার কারখানা সহ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা হবে। এতে দেশের অর্থনীতি ও শিল্পায়ন আরও গতিশীল হবে।

সূত্র আরও জানায়, প্রাথমিকভাবে কূপটি মাটির নিচে ২ হাজার ৮০০ মিটার পর্যন্ত খননের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কূপটির তিন টি জোনে প্রাকৃতিক গ্যাস
মিলতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে।

কূপটির খনন অধিকর্তা মো. রফিকুল হাসান দৈনিক রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, আগামী ৯০ দিনের মধ্যে খননকাজ শেষ করতে এ প্রকল্পে ড্রিলিং রিগ স্থাপন করে
খনন শুরু হয়েছে। এরপর মাসব্যাপী টেস্টিং করা হবে। এই কূপের তিনটি স্তরে গ্যাস থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এখান থেকে কি পরিমান গ্যাস পাওয়া যাবে এর সঠিক
হিসাব খনন শেষে পাওয়া যাবে।

উল্লেখ্য, পেট্রোবাংলা রূপকল্প-৩ প্রকল্পের আওতায় মাদারগঞ্জ উপজেলাকে অন্তর্ভুক্ত করে ২০১৭ সালে উপজেলার তারতাপাড়া এলাকায় গ্যাস অনুসন্ধান প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়। ১৬৭ কোটি টাকার ওই প্রকল্পে প্রায় ৬ একর ভূমি অধিগ্রহণ, ভূমি উন্নয়ন এবং লিংক রোড নির্মাণকাজ শেষে আজারবাইজানের গ্যাসকূপ খনন প্রতিষ্ঠান সকার (স্টেট ওয়েল কোম্পানি অব দ্য আজারবাইজান রিপাবলিক) খনন কাজ না করে চলে যায়। এ অবস্থায় দীর্ঘ সাত বছর পর জামালপুর-১ নামে প্রকল্পের আওতায় দেশি প্রতিষ্ঠান বাপেক্সের মাধ্যমে পুনরায় এই অনুসন্ধান কূপের খননকাজ শুরু করা হলো।

আরবি/জেডআর

Link copied!