বরগুনায় স্বামীকে কারাগার থেকে মুক্ত করার সহয়তা প্রদানের আশ্বাস দেয়ার কথা বলে আপন ছোট ভাইয়ের বৌকে ধর্ষণ করায় আদালতে নালিশী মামলা করেছে ভাবী। তাকে ধর্ষণের সহয়তা করায় আপন খালাতো দেবরকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে। ঘটনা বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের কেওরাবুনিয়া গ্রামে। এনিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যতা সৃষ্টি হলেও অভিযুক্তদের দাবি স্বামীর অপকর্ম ঢাকতে মিথ্যা ধর্ষণের অভিযোগে তাদের ফাঁসানো হয়েছে।
মানলার আসামীরা হলো ভাসুর মোঃ কামরুল হাসান এবং খালাতো দেবর মোঃ বনি আমিন। কামরুল হাসান বরগুনার বামনা এবং মোঃ বনি আমিন তালতলী উপজেলায় কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগে কর্মরত রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে গত ২৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বাদী ধর্ষণের অভিযোগে নালিশী মামলা দায়ের করা হয়। ট্রাইবুনালের বিজ্ঞা বিচারক অভিযোগ আমলে নিয়ে বরগুনা থানার অফিসার ইনচার্জকে এজাহার করার নির্দেশ প্রদান করে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদীর স্বামী বরগুনা কৃষি প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী এনামুলকে মিথ্যা মামলায় কারাগার থেকে মুক্ত করার প্রলোভন দেখিয়ে আসামিরা গত ১৮ জানুয়ারি বিকেলে বরগুনা কৃষি প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের নৈশপ্রহরীর কক্ষে দুই নম্বর আসামি বণি আমিনের সহায়তায় স্বামী এনামুলের আপন বড় ভাই কামরুল হাসান জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এঘটনায় মামলার মূল আসামি বামনা উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, স্বামীর অনিয়ম আড়াল করতে এবং আমাকে হয়রানি করতেই আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। মামলায় উল্লেখিত ঘটনার তারিখে কর্মস্থলে সরকারি কাজে ব্যস্ত ছিলাম। এ ছাড়া আমার ডরমিটরি রেজিস্ট্রারে স্বাক্ষরও আছে।
মামলার অন্য আসামী বণি আমিন মামলার অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বলেন, মামলায় বর্ণিত ঘটনার তারিখ ও সময়ে আমি স্ত্রী-সন্তানসহ বরিশালে একটি জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ছিলাম। আমার কাছে সিসি ক্যামেরার ফুটেজসহ প্রমাণ আছে, সেগুলো আদালতে দাখিল করবো।
এব্যাপারে বরগুনা থানার অফিসার ইনচার্জ দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, আদালতের আদেশে অভিযোগের বিষয়ে বরগুনা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা রুজু করা হয়েছে। ভিক্টিমের ডাক্তারি পরীক্ষাসহ মামলার অন্যান্য তদন্ত কার্যক্রম চলমান আছে।
আপনার মতামত লিখুন :