উত্তরের সীমান্ত লাগোয়া জেলা কুড়িগ্রামে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। হিমেল হাওয়া ও মাঘের হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে। দিনের বেলায় সূর্যের দেখা মিললেও ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডার কারনে তা উত্তাপ ছড়াতে পারছে না। সন্ধ্যার পর রাতে ঠান্ডার প্রভাব বেশি থাকছে। ফলে তীব্র ঠান্ডা এবং হিমেল বাতাসের কারণে দূর্ভোগে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) জেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ অবস্থায় চরম দূর্ভোগে রয়েছে রিকশাচালক, ভ্যান চালক, ঘোড়ার গাড়ি চালক সহ খেটে-খাওয়া, দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ। হিমেল বাতাস ও হাড় কাঁপানো ঠান্ডা উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হয়েছেন এসব পেশার অনেকেই।
কুড়িগ্রাম সদরের হলোখানা ইউনিয়নের রিকশাচালক আবদুল মজিদ বলেন, কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশার সাথে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। গাড়ি চালানো খুব অসুবিধে হচ্ছে। কিন্তু পেট তো ঠান্ডা-গরম বোঝে না!
ভোগডাঙ্গার কুমরপুর এলাকার ভ্যান চালক উমর আলী বলেন, সন্ধ্যা থেকে সকাল ৯-১০টা পর্যন্ত কনকনে ঠান্ডা ও কুয়াশা থাকছে। এ কারনে ভাড়াও ঠিকমতো মিলছে না। সূর্য উঠলেও উত্তাপ তেমন নেই। খেটে-খাওয়া মানুষের জন্য বিপদ এ ঠান্ডা।
স্থানীয়রা জানান, দুই দিন ধরে আবারও বেড়েছে শীতের দাপট। সকালে কুয়াশা কমলেও বেড়েছে ঠান্ডার দাপট। তাপমাত্রা কমার চেয়েও বেশি অসুবিধা হচ্ছে হিমশীতল বাতাসে। দিনের বেশির ভাগ সময় সূর্যের দেখা থাকলেও হিমেল বাতাসে দিনভর অনুভূত হয় হাড় কাঁপানো শীত। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত।
স্থানীয় রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, আজ সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা নিম্নমুখী হওয়ায় বেড়েছে শীত এবং কুয়াশা। সেই সঙ্গে উত্তরীয় হিমেল বাতাসের কারনে দূর্ভোগ বেড়েছে মানুষের।
আপনার মতামত লিখুন :