বরগুনার বেতাগীতে পল্লী বিদ্যুতের লাইনের গাছের ডাল কাটা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে বারেক হাওলাদার (৫২) নামে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীকে মারধর করে আহত করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে বেতাগী সদর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
গত বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় বারেক হাওলাদার বেতাগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জানা গেছে, পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন বেতাগী উপকেন্দ্রের কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গত বুধবার বেতাগী সদর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের লাইনের ওপর থেকে গাছের ডাল কেটে ঝুঁকিমুক্ত করেন। এতে পল্লী বিদ্যুৎকর্মী বারেক হাওলাদারের নেতৃত্বে ৭-৮ জনের একটি দল কাজ করেন। ঘটনার দিন ওই ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যে তাজুল ইসলামের বাড়ির এলাকার গাছের ডাল কেটে পরিস্কার করেন। এতে ইউপি সদস্যের মা বাঁধা দেয়।
এবিষয় বেতাগী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো: কুদ্দুস ফকিরের ছেলে শ্রমিকদল নেতা কামাল হোসেন বলেন, ‘বিদ্যুৎকর্মী বারেক হাওলাদারকে ইউপি সদস্য তাজুল ও জামাল খান মারধর করেন। এতে বাকেক হাওলাদার গুরুতর আহত হয় এবং অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এঘটনার পরপরই বারেক হাওলাদারকে বেতাগী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, বারেক হাওলাদার বেতাগী হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডের ২ নম্বর বেডে গত বুধবার থেকে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে লাঠি দিয়ে পিটানোর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এসময় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত বারেক হাওলাদার বলেন, ‘আমি কোন অপরাধ করি নাই, মারধরের সঠিক বিচারের দাবি জানাই।’
পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক স্বাধীন ও মনির হাওলাদার বলেন, ‘বারেক হাওলাদারকে মারধরের কথা শুনে আমরা সেখানে যাই বিষয়টি মীমাংশা করার জন্য কিন্তু উল্টোভাবে আমাদের দোষী সাব্যস্ত করেন ইউপি সদস্য তাজুল। যা সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। আমরা এই ঘটনার সঠিক তদন্তপূর্বক বিচারের দাবি জানাই।’
এবিষয় রবিবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে নিয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্যে তাজুল ইসলাম মুঠোফোনে রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘বেতাগী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ১৫-২০ জনের একটি দল এসে এলোপাথারীভাবে আমাদের এলাকার ছেলেদের মারধর করে এবং আমার মটরবাইক ভাংচুর করে।’
বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ‘সঠিক তদন্তপূর্বক ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :