ঢাকা শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫

কেউ কথা রাখেননি, নৌকাই যেন দুই পাড়ের মানুষের শেষ ভরসা!

নলডাঙ্গা (নাটোর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২৫, ০৩:১৩ পিএম

কেউ কথা রাখেননি, নৌকাই যেন দুই পাড়ের মানুষের শেষ ভরসা!

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

নাটোরের নলডাঙ্গায় ব্রিজ না থাকায় ৫৩ বছর ধরে কৃষকসহ হাজার হাজার গ্রামের মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। দীর্ঘ এই সময়ে জনপ্রতিনিধিরা আসছেন-গেছেন, ভোটের সময় অঙ্গীকারও করেছেন, কিন্তু কেউ কথা রাখেনি!

স্থানীয় এলাকাবাসী, সেলিম রেজা, রাব্বি হোসেনসহ অনেকে বলেন, উপজেলার ব্রহ্মপুর বাজার সংলগ্ন খেয়া ঘাট ও বাঁশিলা খেয়া ঘাট, আঁচড়াখালিসহ বিভিন্ন স্থান দিয়ে প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষ নৌকা পার হয়ে স্কুলে যাতায়াত করে। নৌকায় নদী পারাপারের সময় যুবকের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে বাঁশিলা খেয়াঘাটেনাটোরের নলডাঙ্গায় ব্রিজ না থাকায় ৫৩ বছর ধরে কৃষকসহ হাজার হাজার গ্রামের মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। দীর্ঘ এই সময়ে জনপ্রতিনিধিরা আসছেন-গেছেন, ভোটের সময় অঙ্গীকারও করেছেন, কিন্তু কেউ কথা রাখেনি!

স্থানীয় এলাকাবাসী,সেলিম রেজা,রাব্বি হোসেনসহ অনেকে বলেন,উপজেলার ব্রহ্মপুর বাজার সংলগ্ন খেয়া ঘাট ও বাঁশিলা খেয়া ঘাট, আঁচড়াখালিসহ বিভিন্ন স্থান দিয়ে প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষ নৌকা পার হয়ে স্কুলে যাতায়াত করে। নৌকায় নদী পারাপারের সময় যুবকের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে বাঁশিলা খেয়াঘাটে।

স্থানগুলোর আশেপাশে ইউনিয়ন পরিষদ, প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শ্মশান, বাজার, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ নানান প্রতিষ্টান। তাই প্রতিনিয়ত শতশত জনসাধারন ভোর থেকে রাত পর্যন্ত নৌকা দিয়ে যাতায়াত করে নদীর এপার থেকে ঐপার।

স্বাধীনতার ৫৩ বছর পার হলেও হয়নি কোন ব্রিজ। বর্ষা মৌসুমে নদী পানিতে পরিপূর্ণ হওয়ার কারণে নৌকা পার হতে অনেক সময় লেগে যায়। আবার অনেক সময় নৌকা ডুবে যায়। যার ফলে সবচেয়ে ভোগান্তীতে পারতে হয় শিক্ষার্থীদের। উপজেলার ব্রহ্মপুর বাজার সংলগ্ন খেয়া ঘাট ও বাঁশিলা খেয়া ঘাট, আঁচরাখালিসহ বিভিন্ন গুরুত্ব স্থান দিয়ে প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। তাছাড়া কৃষকদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য সঠিক সময়ে বাজারজাত করাও সম্ভব হচ্ছেনা

স্বাধীনতার ৫৩ বছর ধরে জনপ্রতিনিধিরা সবাই কথা দিয়েছেন। ভোট নিয়েছেন, কিন্তু কেউ কথা রাখেনি। নির্বাচনের সময় জনপ্রতিনিধিরা আসেন ভোট চাইতে, ওয়াদা করেন ব্রিজ করে দেবেন। অনেকেই প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু নির্বাচনের পর কেউ আর কথা রাখেন না।

স্থানীয়রা আরও বলেন, উপজেলার ব্রহ্মপুর-বাঁশিলা-আঁচড়াখালিসহ বারনই নদীর বিভিন্ন স্থানে সেতুর অভাবে ভাগ্য পাল্টাতে পারছে না হালতিবিলসহ উপজেলার লাখ লাখ মানুষ। প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা নদী পারাপার হচ্ছে। বারনই নদীর গুরুত্ব স্থানে সেতু নির্মাণের দাবি এ অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষের। সেতুগুলো নির্মিত হলে পাল্টে যাবে এই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য। সহজে উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে না পারায় কম মূল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে এ অঞ্চলের মানুষকে। সেতু হলে দেশের বিভিন্ন স্থানে পণ্য আমদানিসহ বাড়বে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার।

ব্রহ্মপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সাজেদুর রহমান জানান, নৌক দিয়ে মারাত্বক ঝুঁকির মধ্যে গ্রামবাসিদের পারাপার হতে হয়। এলাকার উন্নয়ন আর জনগনের দুর্ভোগ কমাতে দ্রুত সেতু নির্মাণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে।

এ বিষয়ে নলডাঙ্গা উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী অরুপ কুমার বলেন, বারনই নদীর উপর বেশ কিছু ব্রিজ তৈরির পরিক্ল্পনা গ্রহন করা হয়েছে। তা প্রকল্পেও অন্তভুক্ত করা হয়েছে এবং উদ্ধতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে এবং তারা ব্যবস্থা গ্রহন করবে। স্থানগুলোর আশেপাশে ইউনিয়ন পরিষদ, প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শ্মশান, বাজার, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ নানান প্রতিষ্ঠান। তাই প্রতিনিয়ত শতশত জনসাধারন ভোর থেকে রাত পর্যন্ত নৌকা দিয়ে যাতায়াত করে নদীর এপার থেকে ঐপার।

স্বাধীনতার ৫৩ বছর পার হলেও হয়নি কোন ব্রিজ। বর্ষা মৌসুমে নদী পানিতে পরিপূর্ণ হওয়ার কারণে নৌকা পার হতে অনেক সময় লেগে যায়। আবার অনেক সময় নৌকা ডুবে যায়। যার ফলে সবচেয়ে ভোগান্তীতে পারতে হয় শিক্ষার্থীদের। উপজেলার ব্রহ্মপুর বাজার সংলগ্ন খেয়া ঘাট ও বাঁশিলা খেয়া ঘাট, আঁচরাখালিসহ বিভিন্ন গুরুত্ব স্থান দিয়ে প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। তাছাড়া কৃষকদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য সঠিক সময়ে বাজারজাত করাও সম্ভব হচ্ছেনা স্বাধীনতার ৫৩ বছর ধরে জনপ্রতিনিধিরা সবাই কথা দিয়েছেন। ভোট নিয়েছেন, কিন্তু কেউ কথা রাখেনি। নির্বাচনের সময় জনপ্রতিনিধিরা আসেন ভোট চাইতে, ওয়াদা করেন ব্রিজ করে দেবেন। অনেকেই প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু নির্বাচনের পর কেউ আর কথা রাখেন না।

স্থানীয়রা আরও বলেন, উপজেলার ব্রহ্মপুর-বাঁশিলা-আঁচড়াখালিসহ বারনই নদীর বিভিন্ন স্থানে সেতুর অভাবে ভাগ্য পাল্টাতে পারছে না হালতিবিলসহ উপজেলার লাখ লাখ মানুষ। প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা নদী পারাপার হচ্ছে। বারনই নদীর গুরুত্ব স্থানে সেতু নির্মাণের দাবি এ অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষের। সেতুগুলো নির্মিত হলে পাল্টে যাবে এই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য। সহজে উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে না পারায় কম মূল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে এ অঞ্চলের মানুষকে। সেতু হলে দেশের বিভিন্ন স্থানে পণ্য আমদানিসহ বাড়বে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার।

ব্রহ্মপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সাজেদুর রহমান জানান, নৌক দিয়ে মারাত্বক ঝুঁকির মধ্যে গ্রামবাসিদের পারাপার হতে হয়। এলাকার উন্নয়ন আর জনগনের দুর্ভোগ কমাতে দ্রুত সেতু নির্মাণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে।

এ বিষয়ে নলডাঙ্গা উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী অরুপ কুমার বলেন, বারনই নদীর উপর বেশ কিছু ব্রিজ তৈরির পরিক্ল্পনা গ্রহন করা হয়েছে। তা প্রকল্পেও অন্তভুক্ত করা হয়েছে এবং উদ্ধতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে এবং তারা ব্যবস্থা গ্রহন করবে।

আরবি/জেডআর

Link copied!