ঢাকা শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫

কুষ্টিয়ায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২৫, ০৮:২৬ পিএম

কুষ্টিয়ায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

কুষ্টিয়ায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ফসলি জমির মাটি কেটে সরবরাহ করা হচ্ছে অবৈধ সব ইটভাটায়। কৃষি জমির এসব মাটি স্যালো ইঞ্জিন চালিত অবৈধ স্টিয়ারিং ও ড্রাম ট্রাক যোগে প্রতিদিন সরবরাহ করা হয় ইটভাটায়। পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে কৃষি জমি থেকে অবাধে মাটি উত্তোলন ও বিক্রির রমরমা ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। তিন ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করার ফলে একদিকে যেমন কমছে আবাদি জমির পরিমাণ অপরদিকে জমি হারাচ্ছে তার উর্বরতা শক্তি, সেই সাথে বিনষ্ট হচ্ছে প্রকৃতির ভারসাম্য।

সূত্রে জানাগেছে, দৌলতপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বসতবাড়ি বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আঙিনায় কৃষি জমি দখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ ২৬টি ইটভাটা। আর এ সব ইটভাটায় প্রতিদিন ট্রলি বা ড্রাম ট্রাকে মাটি সরবরাহ করা হয়। কৃষকদের দেওয়া হচ্ছে ট্রলি প্রতি মাত্র ৩০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা, স্টিয়ারিংয়ের ভাড়া ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা আর এসব মাটি ইটভাটায় বিক্রয় করা হচ্ছে প্রতি ট্রলি ১০০০ হাজার থেকে ১২০০ টাকা করে। মাটি বিক্রি চক্রের সাথে জড়িত রয়েছে এক শ্রেণীর দালাল।

ফিলিপনগর ইউনিয়নের সদস্য ও মাটি বিক্রেতা মজনুর বলেন, উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের তারাগুনিয়া তেলপাম্প এলাকার রেফেজ মন্ডলের ছেলে মাটি ব্যবসায়ী রবকুলের কাছে তার নিজ ফসলি জমির ১০০ ট্রলি মাটি বিক্রি করেছেন ৪০ হাজার টাকায়।

মাটি ব্যবসায়ী রবকুল বলেন, আমি উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে মাটি কিনে বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করি। আমি ব্যতীত অনেকেই আছেন মাটির ব্যবসা করেন।

কৃষি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় সরবরাহের বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল হাই সিদ্দকী বলেন, অবৈধ মাটি উত্তোলন বন্ধে আমাদের অভিযান চলমান আছে। মাটি উত্তোলনের খবর পেলে সঙ্গে সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। 

আরবি/জেডআর

Link copied!