ঢাকা শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫

চাকরির প্রলোভনে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ, ব্যাংক ম্যানেজারের বিরুদ্ধে মামলা

বরগুনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০২৫, ০৫:৪২ পিএম

চাকরির প্রলোভনে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ, ব্যাংক ম্যানেজারের বিরুদ্ধে মামলা

ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট শাখার ম্যানেজারের বিরুদ্ধে তরুণীকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই তরুণী মঙ্গলবার বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছে। ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ বেগম লায়লাতুল ফেরদৌস মামলাটি গ্রহন করে বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এজাহার ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। 

মামলার আসামি হল, জেলার বামনা উপজেলার ছোনবুনিয়া বড় তালেশ্বর গ্রামের মোঃ তৈয়ব আলীর ছেলে মোঃ ইসমাইল (৪০)। ইসমাইল ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা বাজার এজেন্ট শাখার ম্যানেজার। এ তথ্য নিশ্চিত করেন পিপি রনজুয়ারা সিপু।

জানা যায়, একই উপজেলার এক অসহায় তরুণী চাকরির জন্য ওই আসামির নিকট যায়। আসামি ইসমাইল তরুণীকে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা বাজার এজেন্ট শাখায় চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তার বাসায় যেতে বলেন। ইসমাইলের কথা মত তরুণী তার বাসায় গিয়ে বায়োডাটা দিয়ে আসেন। এ সময় ইসমাইল তরুণীর ফোন নম্বর রেখে দেয়। ইসমাইল তরুণীকে বলেন, এ সব চাকরিতে ইন্টারভিউ দিতে হয় না। আমি চাকরি ঠিক করে ফোন দিলে নিয়োগপত্র নিয়ে কাজ শুরু করবেন। তারপর থেকে ইসমাইল প্রায়ই তরুণীকে ফোন দিয়ে কুশলাদি জানতেন। 

গত বছর ২১ মার্চ আসামি ইসমাইল তরুণীকে ফোন করে তার বাসায় নিয়োগপত্র নিতে বলেন। তরুণী বাসায় গেলে ইসমাইল বলে নিয়োগপত্র নিতে হলে আমাকে খুশি করতে হবে। তরুণী চলে আসার সময় হাত ধরে ঘরে নিয়ে জোর করে ধর্ষণ করে। কৌশলে ধর্ষণের ছবি তুলে রাখে ইসমাইল। ইসমাইল তরুণীকে বলে কাউকে বলে দিলে ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দিব। আসামি ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছাড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে তরুণীকে। 

তরুণী বলেন, আসামি আমাকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। গোপনে ধর্ষণের ভিডিও ধারন করে রেখে আমাকে ব্লাকমেইল করে। আসামি আমাকে বিয়ে করার কথা বলেও ধর্ষণ করেছে।

সর্বশেষ চলতি বছরের গত ২৩ জানুয়ারি সকাল ১০টার সময় আসামির বসত ঘরে বিয়ে করার জন্য যাই। এ সময় আসামি আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আবার ধর্ষণ করে। পরে আর আসামি আমাকে বিয়ে করেনি। আসামি ইসলামের ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা যায়নি।

আরবি/জেডআর

Link copied!