আন্দোলনের চতুর্থ দিনে প্রশাসনের আশ্বাসে কর্মবিরতি স্থগিত করেছে খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়ন। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় খুলনা, বাগেরহাট, যশোরসহ ১৬ জেলার ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন শুরু হয়।
পদ্মা-মেঘনা-যমুনা ট্যাংকলরি শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মীর মোকসেদ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে মঙ্গলবার দিনগত রাতে খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিক ও পুলিশ প্রশাসনের টানা বৈঠক শেষে এ কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছিল।
খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলী আজিমকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে গত ২৬ জানুয়ারি দুপুর থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন শ্রমিকরা। এ কারণে গত তিন দিন ধরে পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন ও ১৬ জেলায় পরিবহন বন্ধ থাকে। তবে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন শুরু হয়।
শ্রমিকরা জানান, খুলনায় আজ চতুর্থ দিনে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়েছে। পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন ও ১৬ জেলায় পরিবহন চলাচল শুরু হয়েছে।
এদিকে সকাল ৯ টার পর থেকে পেট্রোল পাম্পগুলোতে জ্বালানি তেল বিক্রি স্বাভাবিক হয়।
ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান মিজু জানান, প্রশাসন তাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে তারা কর্মবিরতি আপাতত স্থগিত করেছেন। সকাল ৮টা থেকে ৩টি ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন এবং ১৬ জেলায় সরবরাহ শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে রোরবার থেকে ট্যাংকলরি শ্রমিকদের শুরু হওয়া কর্মবিরতির কারণে মজুত থাকা তেল শেষ হয়ে জ্বালানি তেল শূন্য হয়ে পড়ে খুলনার অধিকাংশ পেট্রোল পাম্প। তেল না পেয়ে ফিরে যেতে হয়েছিলো চালকদের। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
আপনার মতামত লিখুন :