শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২৫, ১২:০৭ এএম

সাতক্ষীরায় বিষপানে নিহত ২ শিশু, বেঁচে গেল মা

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২৫, ১২:০৭ এএম

সাতক্ষীরায় বিষপানে নিহত ২ শিশু, বেঁচে গেল মা

ছবি: সংগৃহীত

পারিবারিক কলহের জেরে বিষপান করে দুই সন্তানকে হত্যার পর নিজেও আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল মা রত্না খাতুন (৩০)। ঘটনার পর মা রত্না খাতুন বেঁচে গেলেও প্রাণ হারিয়েছে অবুজ দুই শিশু।

বুধবার দুপুরে কালিগঞ্জ উপজেলার কালিকাপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় গোটা এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রত্না খাতুন কালিকাপুর গ্রামের মাহামুদ হাসানের স্ত্রী। মারা যাওয়া দুই শিশু হল মাহির (৫) ও ৯ মাসের আরিয়ান। 

নিহত শিশুদের পিতা মাহমুদ হাসান বলেন, সকালে আমি পার্শবর্তী  বাজারে ঔষধের দোকানে যাই। হঠাৎ দুপুরে শুনি শিশু দুটোকে বিষপান করে স্ত্রী রত্না খাতুন গলায় ওরনা পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। পরে তাদের উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সে খানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষনা করে।

তিনি আরো বলেন, আমার বাড়িতে কোন ঝামেলা হয়নি, পারিবারিক ভাবে আমাদের মধ্যে তেমন কোন সমস্যা নেই।

আমি হাসপাতালে এসেছি, আপনারা আমার স্ত্রীকে বাঁচান তাহলে আসল রহস্য জানা যাবে।

স্থানীয়রা জানান, স্বামীর পরকিয়া নিয়ে স্ত্রীর সাথে  দ্বন্দ ছিল দীর্ঘদিনের। এনিয়ে তাদের মধ্যে প্রায় কলহ বাধত। আজ সকালে স্বামী বাজারে গেলে নিজের কোলের শিশু সন্তান দুটিকে প্রথমে বিষপান করার পরে মা নিজেই বিষপান করে গলায় রশি পেঁচিয়ে নিজেকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। 

শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে আনার আগেই শিশু দুটির মৃত্য হয়েছে। তবে আমরা তাদের মাকে ওয়াশিং করছি।সে এখন ও বেঁচে আছে। বিকাল ৪টার দিকে অবস্থার অবনতি হওয়ায় আমরা তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেলে হাসপাতালে রেফার করেছি। 

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির মোল্যা জানান, বিষপানে বাচ্চা দুটি মারা গেছে বলে শুনেছি, মা হাসপাতালে আছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।তবে এঘটনার আসল রহস্য এখনও জানা যায় নি।

আরবি/জেডআর

Link copied!