সিলেটে আল হামরা শপিং সিটি’র নুরানি জুয়েলার্সে আড়াই শ ভরি স্বর্ণ চুরির ২০ দিন পেরিয়ে গেলেও কাউকে গ্রেপ্তার না করায় রাস্তায় নেমেছেন স্বর্ণসহ সর্বস্তরের ব্যবসায়ীরা।
স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস) সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় মহানগরের চৌহাট্টাস্থ শহিদ মিনারের সমানে বিশাল মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
এতে মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী ও সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া দেড় ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে কয়েক হাজার ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক-কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধন থেকে ব্যবসায়ী ও বাজুস নেতৃবৃন্দ সিলেট মহানগর পুলিশকে আরও ১ সপ্তাহের সময় বেঁধে দিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে চুরি হওয়া স্বর্ণ উদ্ধার ও চোরদের গ্রেপ্তার না করলে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন তারা।
এর আগে ২৩ জানুয়ারি বাজুস সিলেট জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ সংবাদ সম্মেলন করে চোরদের ধরতে ও স্বর্ণ উদ্ধার করতে পুলিশকে ৭২ ঘণ্টার আল্টিটেমটাম দেন। কিন্তু সেই ৭২ ঘণ্টার পর পেরিয়ে গেছে আরও দুদিন। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তারহয়েছে করতে পারেনি পুলিশ। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার মাঠে নামলো বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস)।
গত ৯ জানুয়ারি আল হামরার চতুর্থ তলার নুরানি জুয়েলার্স নামক দোকানের (নং-৪৩১, ৪৩৩ ও ৪৩৫) পেছনের দরজার তালা ভেঙে ২৫০ ভরি স্বর্ণ চুরি করে নিয়ে যায় ৭-৮ জনের চোর চক্র। যাওয়ার সময় নতুন তালা লাগিয়ে দিয়ে যায় তারা।
এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী দেওয়ান মো. জাবেদ চৌধুরী মামলা দায়ের করলেও এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। মার্কেটের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে- ওই দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনাটি অন্তত ৮ জন মিলে সংঘটিত করেছে।
মো. জাবেদ চৌধুরীর দাবি- তার ৩ কোটিরও বেশি টাকার স্বর্ণ নিয়ে গেছে চোরেরা। স্বর্ণগুলো উদ্ধার না হলে তিনি পথে বসে যাবেন।
আপনার মতামত লিখুন :