বরগুনার তালতলী বন্দরে মাঝখানে অবস্থিত সিডরের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সেতুটি অবশেষে ভেঙ্গে পড়ে গেছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল বেলায় সেতুটি ভেঙে তালতলীর ভাড়ানি খালে পড়ে যায়। যাওয়ায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে অন্তত ১০ গ্রামের মানুষ। উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের তালতলী মাছ বাজার সংলগ্ন নিশান বাড়িয়া ইউনিয়নের সাথে গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ সেতু ছিল এটি।
বড় অংকুজান পাড়া, খোট্টার চরসহ ১০ গ্রামের বিশাল একটি জনগোষ্ঠী মানুষের চলাচল ছিল এই সেতু দিয়ে । ভাঙা সেতুটির কারণে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার শিক্ষার্থী, কৃষক, জেলে, বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও রোগীদের।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ২৫ বছর আগে এই সেতুটি নির্মাণ করে ছিল স্হানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর । ২০০৭ সালের সুপার সাইক্লোন সিডরের আঘাতে সেতুটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এরপর দীর্ঘ ১৭টি বছর অনেকটা বিধ্বস্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। আজ শুক্রবার সকালে তা হঠাৎ ভেঙে পরে যায়। বিকল্প রাস্তা না থাকায় এলাকাবাসী বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ডিঙি নৌকা দিয়েই চলাচল করছেন।
সেতু ভেঙে যাওয়ার সংবাদ শুনে, ঘটনাস্থানে ছুটে এসেছেন উপজেলা বিএনপি`র আহ্বায়ক মো. শহিদুল হক, সি.যুগ্ম আহ্বায়ক ও তালতলী বাজার বহুমুখী সাধারণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মাহবুবুল আলম মামুন, উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমির।
এ সময় তারা বলেন, ২০০১ সালে বিএনপির সময়ে এই সেতুটি নির্মান করা হয়। প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় সিডরে সেতুটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এরপর সেতুটি মেরামত সহ নতুন করে নির্মাণের বারবার দাবী করা হলেও আওয়ামী সরকারের নেতারা তা কর্নপাত করেনি। এর কারণ হিসেবে বিএনপির নেতৃবৃন্দ বলেন সেতুটির পশ্চিম পাড়ের লোকজন বিএনপি পন্থী হওয়ায় অবহেলায় ছিল সেতুটি। আওয়ামী সরকারের আমলে ঝুঁকি নিয়ে এই সেতুটি দিয়ে চলাচল করতে হয়েছে এখনকার মানুষ জনকে। আমাদের প্রাণের দাবী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত বিকল্প চলাচলের পথ তৈরি করা এবং সেতুটি নির্মাণের।
উপজেলা এলজিইডি ইঞ্জিনিয়ার মোঃ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সেতুটি আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ থাকার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আগেই জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা বলেন, সকাল ৮ টায় সময় সংবাদ শুনেছি, ঘটনাস্থলে নিশান বাড়িয়ার ইউপি চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন। শ্রমিক দিয়ে আজ কালের মধ্যে বিকল্প যোগাযোগের জন্য অস্থায়ী ব্যবস্থা তৈরি করা হবে। এ বিষয়ে পরবর্তীতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষর সাথে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :