মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার তেওতা ইউনিয়নের যমুনা নদীর আলোকদিয়া চর এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় পাঁচজনকে
ড্রেজারকাটারসহ আটক করেছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম ফয়েজ উদ্দিন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র চরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিল, যা নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত করার পাশাপাশি পরিবেশের জন্যও মারাত্মক ক্ষতির কারণ হচ্ছিল। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সাড়ে ১২টার দিকে এসিল্যান্ডের নেতৃত্বে যমুনা নদীর ৭, ৮ নম্বর বৈদ্যুতিক পিলারের মধ্যবর্তী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আটকৃতরা হলেন, মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার ত্রিলোচনপট্টি এলাকার মো. জহির উদ্দিনের ছেলে মো. রাকিব হোসেন, ২. রিয়াদ, পিতা- জালাল উদ্দিন, সাং-
দিগলন্দি, বন্দর নারায়ণগঞ্জ, ৩. রাহুল পিতা- মৃত হোসেন বেপারী, সাং- চর আনধার মানিক, সাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ, ৪. শাহ আলী, পিতা- কিতাব উদ্দিন, সাং-
সম্ভূপুরা, সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ, ৫. বিপ্লব, পিতা- ফজলু হক, সাং ফরদি, সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ।
এ ব্যাপারে শিবালয় থানার অফিসার ইনচার্জ এআরএম আল মামুন বলেন, এদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে নদী ও নদীর তীরের ক্ষতি সাধন করার অপরাধে শিবালয় থানায় একটি মামলা দায়ের এবং আসামিদেরকে মানিকগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতের মাধ্য জেলা হাজতে প্রেরণ করা হবে।
এসিল্যান্ড এসএম ফয়েজ উদ্দিন বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। আমরা নিয়মিত মনিটরিং করছি এবং ভবিষ্যতেও এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে। আটক কৃতদের শিবালয় থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।
স্থানীয়রা প্রশাসনের এই কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে আমাদের এলাকার ফসলি জমি, বসতভিটা এবং জাতীয় গ্রীডে যুক্ত বৈদ্যুতিক খুটি হুমকির মুখে পড়ছিল। প্রশাসনের এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে এবং সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে, যাতে কেউ পুনরায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মতো অপরাধে লিপ্ত না হয়।
উল্লেখ্য, এ অভিযানে বাংলাদেশ পুলিশ ও কোস্ট গার্ড, আনসার বাহিনীর সদস্যরা অভিযান পরিচালনায় সহায়তা করেন।
আপনার মতামত লিখুন :