ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় আদালতের নির্দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত তিনজনের পরিচয় সনাক্তে ও মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।
শনিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আশুলিয়ার পৃথক স্থান থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আশুলিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদিয়া আক্তারের নেতৃত্বে পুলিশ ও স্বজনদের উপস্থিতিতে মরদেহগুলো উত্তোলন করা হয়। পরে মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা যায়, এদিন সকালে আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকার পাবনারটেক মহল্লার একটি কবরস্থান থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আশরাফুল ইসলামের মরদেহ উত্তোলন করা হয়। এরপর আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকার চারালপাড়া মহল্লার একটি কবরস্থান থেকে জাহিদুল ইসলাম সাগরের মরদেহ উত্তোলন করা হয়। আর দুপুরে আশুলিয়ার আমবাগান এলাকার স্থানীয় একটি কবরস্থান থেকে আবুল হোসেন নামে একজনের মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আশুলিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদিয়া আক্তার বলেন, আদালতের নির্দেশে মরদেহগুলো উত্তোলন করা হয়। সকাল থেকে আশুলিয়ার পাবনার টেক, চারালপাড়া ও আমবাগান থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নূর আলম সিদ্দিকী বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আশুলিয়ায় গুলিতে যারা নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে সুরতহালসহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফন করা হয়েছে বেশ কয়েকজনের। এদের মধ্যে অনেকের স্বজন থানায় ও আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ফলে ওইসব মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ও নিহতের পরিচয় শনাক্তে আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মরদেহগুলো কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :