দালালের খপ্পরে পড়ে রাশিয়ায় গিয়ে ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধ করতে হয় নাটোরের হুমায়ুন কবির ও তার ভগ্নিপতি রহমত আলীকে। এরই মধ্যে ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় মারা গেছেন হুমায়ুন কবির। নিহতের বাড়িতে চলছে মাতম। রহমতকে ফিরিয়ে আনতে এবং জড়িত এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন স্বজনরা।
রাশিয়ায় মাসে আড়াই লাখ টাকা বেতনসহ নানাবিধ সুবিধা, এমন প্রলোভন দেয় ড্রিম হোম ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরস লিমিটেড নামের একটি এজেন্সি। তাদের আশ্বাসে গত বছরের ২৮শে অক্টোবর রাশিয়া পারি দেন নাটোরের সিংড়া উপজেলার হুলহুলিয়া গ্রামের হুমায়ুন কবির ও তার ভগ্নিপতি রহমত আলী।
সেখানে সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের জোর করে পাঠানো হয় যুদ্ধে। সবশেষ ২০শে জানুয়ারি তাদের সাথে কথা হয় পরিবারের। তখন তারা জানিয়েছিলেন, তাদের জীবন সংকটাপন্ন। এরপরই ড্রোন হামলায় হুমায়ুন কবিরের মৃত্যু হয়।
হুমায়ুনের মৃত্যুতে পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের সহায়তা চেয়েছেন স্বজনরা। এছাড়া, রহমত আলীকে দেশে ফিরিয়ে আনারও দাবি জানান স্বজনরা।
আপনার মতামত লিখুন :