শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৫, ০৫:৪৩ পিএম

আবু সাঈদের নামে কোচিং সেন্টার, হাজতে রাখা হলো শিক্ষার্থীকে

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৫, ০৫:৪৩ পিএম

আবু সাঈদের নামে কোচিং সেন্টার, হাজতে রাখা হলো শিক্ষার্থীকে

রংপুরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহিদ আবু সাঈদের নামে কোচিং সেন্টার খোলার অভিযোগে এক শিক্ষার্থীকে বাসা থেকে তুলে এনে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগরের একদল নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। ওই শিক্ষার্থীকে ১৫ ঘণ্টা থানায় আটকে রাখার পর তাকে আদালতে চালান দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে রংপুর নগরের শাপলা মোড়ের ভাড়া বাসা থেকে তুলে আনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কিছু নেতাকর্মী।

আটক হওয়া ওই শিক্ষার্থীর নাম হাসান আলী। তিনি রংপুর মডেল কলেজের বাংলা বিভাগে স্নাতক তৃতীয় বর্ষে পড়ছেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কলেজছাত্র হাসান আলীর বাসায় যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কিছু নেতাকর্মী। এক পর্যায়ে হাসান আলীর সঙ্গে তাদের বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হলে পুলিশ ডেকে এনে তাদের কাছে সোপর্দ্দ করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার সন্ধ্যার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রফিক আহমেদ রাজ নামের এক ইংরেজি শিক্ষক “শহিদ আবু সাঈদ কোচিং সেন্টার” নামের একটি প্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দেন। ভিডিওটি মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। পরে জানাজানি হয়, কলেজছাত্র হাসান আলী ওই কোচিং সেন্টারের ফেসবুক পেজটি খুলে দিয়েছেন। বিষয়টি নগরীতে জানাজানি হলে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়।

শনিবার রাতে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালী থানায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমানের কক্ষে বসে আছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন নেতাকর্মী। কলেজছাত্র হাসান আলীকে রাখা হয়েছে থানার হাজতখানায়। হাজতের বাইরে তার স্ত্রী শারমিন খাতুন ও বাড়ির মালিক মালিক অপেক্ষা করছেন। তবে তার বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা নিয়ে বৈষম্যবিরোধীদের সঙ্গে কথাবার্তা বলছেন পুলিশের কর্মকর্তারা।

থানায় উপস্থিত হাসান আলীর স্ত্রী শারমিন খাতুন সাংবাদিকদের জানান, শিক্ষক রফিক আহমেদ রাজের কাছে ইংরেজিতে কথা বলা শিখতেন তার স্বামী। ওই শিক্ষক রাজ একটি কোচিং সেন্টার খুলতে চেয়েছিলেন। ওই কোচিং সেন্টারে নামে তার স্বামীর কাছ থেকে একটি ফেসবুক পেজ খুলে নিয়েছিলেন।

শারমিনের দাবি, তার স্বামীকে জোর করে থানায় এনে হাজতখানায় আটকে রাখা হয়েছে। তার স্বামীর কোনো দোষ নেই।

এ ব্যাপারে রংপুর মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি গণমাধ্যমকে বলেন, শহিদ আবু সাইদের নাম ভাঙিয়ে ব্যবসা করলে আমরা তার বিরোধী। তবে ওখানে কিছু একটা ‘মিসআন্ডারস্ট্যান্ডিং’ হয়েছে। সেটা আমার কাছে বেশি বাড়াবাড়ি মনে হয়েছে, আমি বিষয়টি দেখছি।


এভাবে একজন শিক্ষার্থীকে বাড়ি থেকে তুলে এনে হাজতে আটকে রাখার ঘটনাকে মানবাধিকারের লঙ্ঘন বলছেন রংপুরের নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। এ বিষয়ে রংপুর দায়রা ও জজ আদালতের আইনজীবী পলাশ কান্তি নাগ গণমাধ্যমকে বলেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বা আমলযোগ্য অপরাধ ছাড়া কাউকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারে না। এ ধরনের গ্রেপ্তার আইনের অপব্যবহার ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।

আরবিএস/জে

Link copied!