কুড়িগ্রাম জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আহমেদ নাজমীন সুলতানাকে দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
রোববার দুপুরে আদালত কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সদর আমলি) রাকিবুল হাসান সাবেক এই এমপিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কুড়িগ্রাম সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে কুড়িগ্রাম পুরাতন শহরের মোক্তারপাড়া গ্রামের নিজ বাসভবন থেকে নাজমীন সুলতানাকে আটক করে পুলিশ। রোববার সকালে তাকে আদালতের হাজতখানায় নেওয়া হয়। জেলা বারের একজন আইনজীবীর মৃত্যুর কারণে রোববার আদালতের নিয়মিত কার্যক্রম বন্ধ থাকে। ফলে সাবেক এই মহিলা এমপিকে প্রায় দিনভর আদালতের হাজতখানায় থাকতে হয়েছে। হাজতখানায় সাবেক এই এমপিকে অনেকটা বিমর্ষ দেখায়। হাজতখানার ভিতর তিনি বারবার পাঁয়চারি করছিলেন। পরে দুপুর ৩ টার পরে তাকে আদালতে নেওয়া হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আহমেদ নাজমীন সুলতানা নবম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসন-৬ এর এমপি ছিলেন। একই সাথে তিনি কুড়িগ্রাম মহিলা আওয়ামী লীগের দুই মেয়াদে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আক্তার হোসেন চিনুর স্ত্রী। আহমেদ নাজমীন সুলতানা নবম জাতীয় সংসদ মেয়াদে কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। এমপি থাকাকালে তার অনুকূলে বিভিন্ন সরকারি বরাদ্দ টাকার বিনিময়ে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ জানায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে কুড়িগ্রাম জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নাদিম আহম্মেদ এবং যুবদল সদস্য আবু তাহের কুড়িগ্রাম সদর থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন। ওই দুটি মামলায় সাবেক এমপি আহমেদ নাজমীন সুলতানাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। রবিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এসআই সাইফুল্লাহ বলেন, ‘ আদালতের নির্দেশে সাবেক এমপিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
আপনার মতামত লিখুন :