ঢাকা সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৫, ০৩:১২ পিএম

বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

অভ্যন্তরীণ বিরোধের জের ধরে নাটোরের বড়াইগ্রামে যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মিজানুর রহমানসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৬ টায় এ ঘটনা ঘটে। এদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ৩ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

যারা আহত হয়েছে, মোঃ হৃদয় (২৫), মোঃ সানাউল্লাহ (৫৫) কৃষক দলের থানা আহবায়ক, মোঃ নাসিম হোসেন ( ২৭), মোঃ সাইদুল ডাক্তার (৫৫) নগর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহবায়ক, মোঃ সাইফুল ইসলাম (৫২) ইউনিয়ন বিএনপি সদস্য ও মোঃ ফয়সাল হোসেন (২৩) নগর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি। 

এবং অপর দিকে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমানের নেতাকর্মীরা যারা আহত হয়েছে, মোঃ রুবেল (২৬) হোসেন নগর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সদস্য, মোঃ জিন্নাহ (৬০) হোসেন মিজানুরের বাবা, মোঃ মিজানুর রহমান (৩৫)-বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি, মোঃ সাহানি হোসেন সুজন (৩০) ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক নগর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দল, মোঃ সাইফুল ইসলাম (৪৫) শ্রমিক দলের প্রচার সম্পাদক, মোঃ আজগর আলী (৬৫) বিএনপি সমর্থন, মোঃ সোহেল (২৫) ছাত্রদল, মোঃ শুভ হোসেন (২২) ছাত্রদল, মোঃ জুয়েল রানা (২০) ছাত্রদল। 

৪ নং নগর ইউনিয়নের যুবদলের সভাপতি মোঃ আতাউর রহমান  জানান, আওয়ামী লীগ এর নেতা কর্মীদের আশ্রয় প্রস্র দেয় এবং আমরা নিষেধ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে  আক্রমণ করে।

বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান জানান, কয়েন বাজারে স্বেচ্ছাসেবক দলের  দলীয় কার্যালয় তৈরির জন্য দোকান ভাড়া নেই । এতে বাধা দেন নগর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আতাউর রহমান। তিনি আরো জানান, সার কীটনাশকের দোকানে চাঁদা দাবি করলে, আমি বাঁধা প্রদান করি এতে আতাউর রহমান তার নেতাকর্মী নিয়ে আমার উপর আক্রমণ করে । 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মিজানুর রহমান স্থানীয় কয়েন বাজারে দলীয় কার্যালয় তৈরির জন্য দোকান ভাড়া নেন।এতে বাধা দেন নগর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আতাউর রহমান।

এ নিয়ে কয়েন বাজারে উভয় পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাধে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আরবি/জেডআর

Link copied!