ঢাকা সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

বাংলার ‘হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা’ মিন্টু

আবদুল মোমিন, সাতক্ষীরা
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৫, ০৪:৩৯ পিএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার গল্প যেন বাস্তবে রূপ পেল সাতক্ষীরায়। জেলার কলারোয়া উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের ওসমান গনি মিন্টু বাঁশির সুরে হাঁস পালন করে এলাকায় ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন। স্থানীয়রা তাকে ভালোবেসে ডাকেন ‘হাঁস মিন্টু’ নামে।

সরেজমিনে দেখা যায়, মিন্টুর বাঁশির সুর শুনে তার হাঁসের দল পেছনে পেছনে মাঠে-ঘাটে চরে বেড়ায়। এ অনন্য দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন ভিড় করেন উৎসুক জনতা।

দুই বছর আগে গরুর খামারে প্রতারণার শিকার হয়ে সর্বস্বান্ত হওয়ার পর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরামর্শে হাঁস পালনের সিদ্ধান্ত নেন মিন্টু। বর্তমানে তার খামারে প্রায় ১২০০টি হাঁস রয়েছে। বাঁশির সুরে সুরে হাঁসদের পরিচালিত করার দক্ষতায় তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।

[32862]

সম্প্রতি, মিন্টুর হাঁস পালনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে আমেরিকাপ্রবাসী নাসা বিজ্ঞানী ডা. মশিউর রহমান তার খামার পরিদর্শন করেন এবং তাকে আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি বৃহৎ পরিসরে হাঁস পালন করার পরামর্শ দেন।

মিন্টু জানান, মোবাইলে ধারণ করা বাঁশির সুর ব্যবহার করেই তিনি তার হাঁসগুলোকে সহজে পরিচালিত করেন। ইতোমধ্যে তিনি দুবার হাঁস বিক্রি করেছেন এবং আয়কৃত অর্থ দিয়ে গরু ও জমি ক্রয় করেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা নুর ইসলাম ও জামের আলী জানান, মিন্টুর হাঁসের দল যখন বাঁশির সুরে সাড়া দিয়ে চলতে থাকে, তখন হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার গল্পের কথা মনে পড়ে।

[32863]

সাতক্ষীরা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এস এম মাহবুবুর রহমান বলেন, মিন্টু তার উদ্ভাবনী পদ্ধতিতে হাঁস পালন করে বেকারত্ব দূরীকরণে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তাকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।