সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুরে সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ৪ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- সমকালের প্রতিনিধি সোহাগ খান সুজন, নিউজ২৪ টেলিভিশন ও জাগো নিউজ টুয়েন্টিফোর ডট কমের প্রতিনিধি বিধান মজুমদার অনি, বাংলা টিভির প্রতিনিধি নয়ন দাস ও দেশ টিভির প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম আকাশ। এদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় সোহাগ খান সুজনকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার দুপুরে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার কাজী মোহাম্মদ ইলিয়াস এক রোগীর ব্যবস্থাপত্র ছুড়ে ফেলে দেয়। এ ঘটনাটি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে জেলা গণমাধ্যমকর্মীরা। অপরদিকে স্থানীয় ক্লিনিক ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক পরিচয়দানকারী নুরুজ্জামান শেখ ওই চিকিৎসকের পক্ষ নিয়ে নাম সর্বস্ব একটি অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ করে। এ বিষয়টি নিয়ে রোববার দুপুরে নুরুজ্জামানের সঙ্গে সোহাগ খান সুজনসহ বেশ কয়েকজনের সাংবাদিকের বাকবিতণ্ডা হয়। সে ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার দুপুরে সোহাগ খান সুজন তার ব্যক্তিগত অফিস কোর্ট এলাকায় যাওয়ার পথে নুরুজ্জামান শেখ, তার ভাই শামীম শেখ, পালং মেডিক্যাল সেন্টারের মালিক ইব্রাহিম মোল্লা, তার ছেলে জিহাদ মোল্লাসহ ১০ থেকে ১২ জন সন্ত্রাসী মিলে ছুরি, হাতুড়িসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এ সময় তাকে বাঁচাতে এলে নিউজ২৪ ও জাগো নিউজের প্রতিনিধি বিধান মজুমদার অনি, বাংলা টিভির প্রতিনিধি নয়ন দাস ও দেশ টিভির প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম আকাশের ওপর হামলা চালায় তারা। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। গুরুতর আহত অবস্থায় সুজনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর অন্য তিন সাংবাদিক প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
সমকালের প্রতিনিধি সোহাগ খান সুজন বলেন, সংবাদ প্রকাশের জেরে আমার প্রতি ক্ষিপ্ত ছিল ক্লিনিক ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান শেখ। সোমবার অফিসে যাওয়ার পথে আগে থেকে ওঁত পেতে থাকা নুরুজ্জামান শেখ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমার ওপর হামলা চালায়। আমি এই হামলার বিচার দাবি করছি।
শরীয়তপুর প্রেসক্লাবের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন বলেন, সন্ত্রাসীরা সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমরা ওই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
এ ব্যাপারে শরীয়তপুর পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলা ঘটনা শুনে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলাম। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।