ঢাকা সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

লাকসামে যানজটের নেপথ্যে ইজিবাইক, জনভোগান্তি চরমে

মোজাম্মেল হক আলম, লাকসাম

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৫, ০৫:৩২ পিএম

লাকসামে যানজটের নেপথ্যে ইজিবাইক, জনভোগান্তি চরমে

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

লাকসামে দিন দিন বেড়েই চলেছে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক। এতে যানজট যেমন মারাত্মক আকার ধারণ করছে, তেমনি বিদ্যুৎ ব্যবহারের মাত্রাও অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। ফলে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পৌরসভার প্রতিটি সড়কে ইজিবাইকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় পথচারীদের চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে অদক্ষ চালকদের বেপরোয়া গতির কারণে প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা।

অনুসন্ধানে ধারণা পাওয়া গেছে, শুধু এ উপজেলায় এখন প্রায় দেড় লাখ ইজিবাইক চলছে। এর মধ্যে লাকসাম বাজারে ইজিবাইকের চলাচল রয়েছে প্রচুর পরিমান। ইদানিং লাকসাম বাজারে ইজিবাইক এত বেশি বেড়েছে যে, সাধারণ মানুষের চলাফেরাও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। 

জানা যায়, সরকারের কোনো প্রকার অনুমোদন বা বাধ্যবাধকতা না থাকায় এখন যে কেউ ইজিবাইক চালাতে পারছে। ফলে বালক থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত এখন ঝুঁকে পড়েছে ইজিবাইকের দিকে। এ বাহনের ভাড়া অন্যান্য যানের চেয়ে তুলনামূলক কম হওয়ায় মূল শহরে এবং তার বাইরে এখন যাত্রীদের প্রধান বাহনে পরিণত হয়েছে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও রিকশা। আর এগুলোর বেশিরভাগ চালকই সামান্য অর্থের বিনিময়ে অবৈধভাবে বৈদ্যুতিক লাইন থেকে ব্যাটারি চার্জ করিয়ে নিচ্ছেন। 

ইজিবাইক চালকরা যে গ্যারেজে গাড়িগুলো রেখেছেন, সে জায়গাতেই রাতভর একটি গাড়ির শুধু চার্জের জন্য গ্যারেজ মালিককে মাত্র ১০০ থেকে ২০০ টাকা করে দিচ্ছেন। এই যানগুলো চার্জ দেওয়ার জন্য আছে আলাদা দোকান। সেখানে নিয়ম ভঙ্গ করে বিদ্যুতের অপচয় করে গাড়িগুলোতে চার্জ দেওয়া হচ্ছে। এক একটি ঘরে একসঙ্গে ১০/১৫টি করে ইজিবাইকে একটানা ৮ ঘণ্টা করে চার্জ দেওয়া হচ্ছে। 

লাকসাম বাজারের ব্যবসায়ি চন্দন সাহা বলেন, স্থানীয় ব্যবসায়ী চন্দন সাহা বলেন, "অবৈধ ইজিবাইক ও অনিয়ন্ত্রিত পার্কিংয়ের কারণে ক্রেতারা বাজারে আসতে ভয় পান। এতে ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে।"

পথচারী নাজমুল জানান, এসব ইজিবাইকের কারণে বাজারে চলাচল করতে পারিনা সঠিকভাবে। মাঝে মাঝে এ পাশ থেকে অন্য পাশে যাওয়ার মতো সুযোগও থাকে না। গত মাস খানেক আগে ইজিবাইকের নাট-বল্টুতে লেগে আমার একটি নতুন জামা ছিঁড়ে যায়। আমার মতো অসংখ্য মানুষ এসব ইজিবাইকের কারণে আহত হয়েছে। আমরা দ্রুতই এর প্রতিকার চাই।

প্রবীণ রাজনীতিবিদ আবদুল জলিল অভিযোগ করেন, "বিগত সরকারের আমলে কোনো নিয়ম-নীতি না মেনেই কিছু অসাধু ব্যক্তি অর্থের বিনিময়ে ইজিবাইক চলাচলের অনুমতি দেয়। ফলে যানজট এখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।"

স্থানীয়রা দ্রুত ইজিবাইক চলাচলের উপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার দাবি জানিয়েছেন।

আরবি/জেডআর

Link copied!