বছরের পর বছর চলছে পদ্মায় বালু লুটের মহোৎসব

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৫, ০৭:৪৪ পিএম

বছরের পর বছর চলছে পদ্মায় বালু লুটের মহোৎসব

রূপালী বাংলাদেশ

বছরের পর বছর কুষ্টিয়ার পদ্মায় বালু লুটের মহোৎসব চলছে। স্থানীয় প্রভাবশালীরা রাত-দিন লুটে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকার বালু। হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা তারা মানছেনা। আবার স্থানীয় প্রশাসনও কার্যকর তেমন পদক্ষেপ নিচ্ছেনা। দায়সারা অভিযান পরিচালনা করলেও বালু উত্তোলন বন্ধ হয়নি।

জানা গেছে, পদ্মার আশেপাশে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ভেড়ামারা ও ঈশ্বরদী অংশে অসংখ্য এসকেভেটর ও পেলুটারের মাধ্যমে প্রতিদিন শত শত ড্রাম ট্রাকের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বিশেষ করে হার্ডিঞ্জ ব্রীজ ও লালন শাহ সেতুর তলদেশ, ভেড়ামারা উপজেলার, চরবাহাদুরপুর বড়পুল এবং তার আশপাশ এলাকা থেকে তোলা হচ্ছে বালু। চরবাহাদুরপুর বড়পুল এলাকায় উঠতি ফসলী জমি কেটে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ফলে ওইসব এলাকায় গভীর গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে হুমকীর মুখে পড়ছে নদীরক্ষা বাঁধসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। স্থানীয় কৃষকরা তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ালে উল্টো তাদের ওপর চড়াও হচ্ছে প্রভাবশালীরা। অথচ হাইকোর্টের পরিস্কার নির্দেশনা রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ওইসব স্থাপনাসহ পদ্মায় অবৈধ উপায়ে বালু  উত্তোলন করা যাবেনা। কিন্তু কে শোনে কার কথা। এমন নির্দেশনা উপেক্ষা করে দেদারসে তোলা হচ্ছে বালু।

আরও জানা গেছে, নৌ-পুলিশের কয়েকজনের সহযোগিতায় সুযোগ নিচ্ছে বালু লুটেরা। নৌ-পুলিশ মোটা অংকের কমিশনের মাধ্যমে বালু তোলায় সহযোগিতা করছেন। গত ৫ আগস্টের আগে অর্থাৎ শেখ হাসিনা সরকারের সময় নৌ-পুলিশের মদদে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা শতকোটি টাকার বালু লুটে নেন। কিন্তু ৫ আগস্ট পরবর্তি সময়ে স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের সহযোগিতায় তোলা হচ্ছে বালু।

এ বিষয়ে পাবনার রূপপুর লক্ষীকুন্ডা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ওসি মো: ইমরান মাহমুদ তুহিন জানান, অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের সাথে তার কোন সখ্যতা বা যোগাযোগ নেই। আর্থিক সুবিধা নেয়া তো দূরের কথা। বরং যারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালিত হয়েছে।

আরবি/এসবি

Link copied!