স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, আসামির ১০ বছরের কারাদণ্ড

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৫, ০৪:০৭ পিএম

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, আসামির ১০ বছরের কারাদণ্ড

ছবি: সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুরে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় আসামি আরিফ হোসেনকে ১০ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) লক্ষ্মীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ সাদেকুর রহমান আলোচিত এ মামলার রায় দেন। তবে এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহতের মা ও মামলার বাদী। 

ট্রাইব্যুনালের সহকারি সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) তারেক আল আমিন রিশাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আরিফ যখন গ্রেপ্তার হয়েছে তখন তার বয়স ১৭ বছর ১১ মাস ২২ দিন ছিল। এতে আদালত তাকে শিশু হিসেবে গণ্য করে। শিশু আইনে ১০ বছরের সাজা সর্বোচ্চ রায়। আসামিকে আদালত সর্বোচ্চ রায় দিয়েছে। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। 

দণ্ডপ্রাপ্ত আরিফ সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের পশ্চিম গোপীনাথপুর গ্রামের মো. হানিফের ছেলে। 

আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১২ জুন ওই স্কুলছাত্রীকে বাড়িতে একা পেয়ে আরিফ জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে অপরাধের দায় আড়াল করার জন্য তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ২১ জুন সন্দেহভাজন হিসেবে আরিফকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে ১৫ জুন তরিকুল ইসলাম অয়ন ও সুমন পাটওয়ারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তদন্তে ঘটনার সঙ্গে অয়ন ও সুমনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। ডিএনএ প্রতিবেদনের মাধ্যমে আরিফের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়।

পরে একই বছর ২১ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর মডেল থানার তখনকার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোসলেহ উদ্দিন আদালতে আরিফের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন। একইসঙ্গে তদন্তে অয়ন ও সুমনের সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় তাদেরকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আসামিকে ১০ বছরের সর্বোচ্চ সাজা দেন। 

মামলার রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে মামলার বাদী বলেন, প্রায় ৫ বছর হত্যাকারী আরিফ জেলে ছিল। রায়ে তাকে ১০ বছরের সাজা দিয়েছে। আমার মেয়ের হত্যাকারী আর মাত্র ৫ বছর জেল খাটবে, আমি তা মানতে পারছি না। আমার মেয়েকে ধর্ষণ ও হত্যা করেছে। এতে আমি কখনো সন্তুষ্ট হতে পারি না। 

আরবি/জেডআর

Link copied!